রুপিন্দর পাল সিংহ।
পাঁচ বছর আগে যখন এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ঢাকে কাঠি পড়েছিল সে বার চ্যাম্পিয়েন শিরোপা উঠেছিল ভারতেরই মাথায়। কিন্তু তার পরের পাঁচটি বছর তেমনটা হয়নি। শুরুর সাফল্য ধরে রাখতে পারেননি সর্দার সিংহরা। এ বার সেই হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যেই প্রস্ততি নিয়েছে দল। আর তার প্রমাণও পাওয়া গেল টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই। যেখানে জাপানকে শ্রীজেশরা হারিয়ে দিলেন ১০-২ গোলে। কোনও অর্ধেই তেমনভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেখা যায়নি ভারতের প্রতিপক্ষকে। রক্ষণের ভুলে দুটো গোল হজম করতে হলেও আর কিছুই করতে পারেনি টুর্নামেন্টে ভারতের প্রথম প্রতিপক্ষ। চার অর্ধেই রাজ করল টিম ইন্ডিয়া। উড়ে গেল জাপান।
দুপুরে ভারতের সেরা ড্র্যাগ ফ্লিকার রুপিন্দর পাল সিংহকে দেখা যায় টুইট করে আজকের ম্যাচের জন্য ভারতের সমর্থন চাইতে। অন্যদিকে চোটের জন্য দলের সঙ্গে যেতে না পারা ফরোয়ার্ড মনপ্রীত সিংহ জাতীয় দলের ছবি পোস্ট করে দলকে সমর্থনের কথা জানান। ভারতের হয়ে শুরুটা করেছিলেন রমনদীপ সিংহ। পেনাল্টি কর্নার থেকে চেনা ছন্দেই ২-০ করেন রুপিন্দর। তখন ম্যাচ সবে ন’মিনিটে গড়িয়েছে। তৃতীয় গোলও রুপিন্দরের। সেই পেনাল্টি কর্নার থেকেই। এর পর নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে চতুর্থ গোল করে ফেলেন রমনদীপ সিংহ।
প্রথম অর্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে খেলতে নেমে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে শুরু করেন সেই রুপিন্দর। দেশের সেরা ড্র্যাগ ফ্লিকার এখন তিনিই। ৬-০ করেন তলবিন্দর সিংহ। পেনাল্টি কর্নার পেয়েও নষ্ট করে জাপান। ৭-০ করে নিজের হ্যাটট্রিক সেরে ফেলেন রুপিন্দর। এর পরই ব্যবধান কমায় জাপান। রুপিন্দরের পঞ্চম পেনাল্টি কর্নার বাঁচিয়ে দেন জাপানের নবাগত গোলকিপার। জাপানের পেনাল্টি কর্নার বাঁচিয়ে দেন শ্রীজেশ। কিন্তু রক্ষণের ভুলে দ্বিতীয় গোলে হজম করতে হয় ভারতকে। এর পর শুধুই রুপিন্দর। পর পর গোল করে ৯-২ করেন তিনিই। জাপানের কফিনে শেষ পেড়েকটি পুঁতে দেন আফান ইউসুফ।
আরও খবর
সাইনার বিরল সম্মান