চব্বিশ বছর পর ইংল্যান্ডের মাঠ থেকে এক দিনের সিরিজ জেতার জন্য অবশ্যই ধোনি এবং ওর ছেলেদের অভিনন্দন প্রাপ্য। কিন্তু পাশাপাশি এটাও বলতে হবে, ধোনিরা নিশ্চয়ই চেয়েছিল ৪-০ সিরিজটা জিততে। সেটা না হওয়ার পাশাপাশি এটাও বোঝা গেল, ঘাড়ের উপর বড় রান চেপে বসলে, সেটা যে কোনও ব্যাটিং লাইনকে চাপে ফেলে দেয়।
তিনশোর কাছাকাছি রান তাড়া করাটা কখনওই সোজা নয়, আর উপমহাদেশের পরিবেশের বাইরে তো আরওই নয়। ২০০২ লর্ডসে আর ২০০৭ ওভালে তিনশো রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত।
শুক্রবার ভুবনেশ্বের কুমার এবং রবীন্দ্র জাডেজা নিজেদের সেরা ফর্মে ছিল না। নতুন বলে ভুবি অনেক রান দিয়ে ফেলল এবং টার্নিং ট্র্যাকে জাডেজা সে রকম সুবিধা করতে পারল না। তবে শামিকে চেনা ছন্দে দেখে ভাল লাগল। শেষ পাঁচ ওভারে তো নিয়ম করে ইয়র্কার দিয়ে গেল শামি। তবে আমার কাছে ‘গেম চেঞ্জিং’ মুহূর্তটা হল ইংল্যান্ডের ব্যাটিং পাওয়ার প্লে। পাঁচ ওভারে বাটলার এবং রুট মিলে ৫৫ রান তুলে ফেলে। ওটাই ইংল্যান্ডের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেয়। যার পরে খোলা মনে স্ট্রোক খেলতে পারে বেন স্টোকসের মতো ব্যাটসম্যানরা।
যাই হোক, লম্বা সফরের শেষ ম্যাচটাতেও মনে হয় রানের উৎসব দেখতে পাব। একে তো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, তার উপর খেলা হচ্ছে বার্মিংহ্যামে। এই মুহূর্তে ভাল ব্যাটিংয়ের জন্য এটাই ইংল্যান্ডের আদর্শ পিচ। ভারত সম্ভবত ওয়ান ডে দলটাই রবিবারের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নামাবে। ইংল্যান্ড অবশ্য নতুন চেহারায় টিম সাজাবে।
শুক্রবার হেডিংলেতে সব মিলিয়ে যথেষ্ট ভাল পারফর্ম করল ইংল্যান্ড। বিশেষ করে এমন একটা পিচে যেখানে বল সবথেকে বেশি টার্ন করেছে। তবে ইংল্যান্ডকে কিন্তু নিজেদের ওয়ান ডে টিমটা নিয়ে ভাবতে হবে। এই নিয়ে ঘরের মাঠে টানা পাঁচটা ওয়ান ডে সিরিজ হারল ওরা। ইংল্যান্ডের তরুণ দলটায় এমন এক জনকে দরকার, যে ওদের দেখিয়ে দেবে ওয়ান ডে ক্রিকেট কী করে খেলতে হয়।
তিন নম্বরে ইংল্যান্ডের এক জন ব্যাটসম্যান দরকার এবং সেটা মইন আলি কিছুতেই নয়। আমার তো মনে হয় মগ্যার্নকে তিন নম্বরে পাঠালে অনেক বেশি কাজ হবে। ও যদি সেট হয়ে যায়, তা হলে স্পিনের বিরুদ্ধে আরও ভাল ব্যাট করতে পারবে এবং ইংল্যান্ডের কাজটাও অনেক সহজ হবে।