সব রেকর্ড ভাঙতে চলেছে ভারত। যে কোনও সময় ভেঙে যেতে পারে ১৯৮৫তে প্রথম যুব বিশ্বকাপে করা চিনের রেকর্ড। বিষয় অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের দর্শক সংখ্যা। ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীরা যে এ ভাবে যুব বিশ্বকাপকে গ্রহন করবে সেটা কেই বা ভেবেছিল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে পর্যন্ত টিকিট বিক্রি নিয়ে সব ভেন্যুর হাহুতাশ শোনা যাচ্ছিল খুব বেশি পরিমাণে। সেই সময় টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর জেভিয়ার সেপ্পিও হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু প্রথম দিন থেকে এখনও পর্যন্ত হতাশ করেনি ভারতের ফুটবলপ্রেমী দর্শক। বরং কল্পনার থেকেও বেশি দিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই ভারত সেই দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে যারা ১০ লাখের গণ্ডি পেড়িয়েছে। এতদিন সেই তালিকায় ছিল চিন ও মেক্সিকো।
আরও পড়ুন
হারের জ্বালা থেকে ভারতীয় দলকে মুক্তি দিল ৫২ হাজারের গ্যালারি
প্রথম যুব বিশ্বকাপে চিনের মাটিতে ১২৩০৯৭৬ মানুষ যুব বিশ্বকাপ দেখেছিল। ভারতের হাতে এখনও রয়েছে আট দিন। রাউন্ড অফ ১৬ পর্যন্ত ভারতের দর্শক সংখ্যা ১০০৭৩৯৬। ইতিমধ্যেই পরবর্তী ম্যাচের জন্য নতুন করে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গোয়া, গুয়াহাটি, কোচি ও নবি মুম্বইয়ে। এর মধ্যেই যেটা মনে রাখার মতো বিষয়, ইতিমধ্যেই গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গিয়েছে হোম টিম। কিন্তু দর্শকদের উচ্ছ্বাস কমেনি। ভারতের ম্যাচে গড় উপস্থিতি ছিল ৪৯ হাজার। সব ম্যাচই খেলা হয়েছিল দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে। সব ভেন্যু মিলিয়ে দর্শকের গড় উপস্থিতি ২৩ হাজার। যেটা ২০১৫র চিলে বিশ্বকাপের থেকে দ্বিগুনেরও বেশি। জেভিয়ার সেপ্পি বলেছেন, ‘‘আমরা বুঝতে পারছি ফুটবল পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্যানরা অসাধারণ। এ বার ২০১৭ বিশ্বকাপ সর্বোচ্চ উপস্থিতির ইতিহাসে জায়গা করে নিতে চলেছে।’’
আরও পড়ুন
অধিনায়কের আট নম্বর জার্সিতে অমরজিৎ ধরে রাখল গোটা দলকে
যে কারণে বেশ কিছু কমপ্লিমেন্টারি টিকিটকে বিক্রির জন্য ছাড়া হয়েছে। শুরু থেকে একটা অভিযোগ প্রায় সব ভেন্যুর ক্ষেত্রেই শোনা গিয়েছে, কাউন্টার ও অন-লাইনে টিকিট ‘সোল্ড আউট’ দেখানো স্বত্ত্বেও গ্যালারির বেশ কিছু জায়গা ফাঁকা থেকে যাচ্ছে। স্থানীয় কমিটি সেখানে জানিয়েছে, প্রচুর পরিমাণে টিকিট বিভিন্ন ক্লাব, সরকারি কর্তা, স্পনসর, মাঠ কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। যেগুলো তাদের কাছেই রয়ে গিয়েছে। যে কারণে টিকিট শেষ হয়ে গেলেও গ্যালারি ফাঁকা থেকে গিয়েছে। এ বার সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিল লোকাল কমিটি। আশা করাই যায় সব রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে ভারত।