সৌজন্য: সুপার ফোরের ম্যাচের মাঝে হাল্কা মেজাজে শোয়েব মালিক ও শিখর ধওয়ন। রবিবার দুবাইয়ে। ছবি: এপি।
মরুশহরে ক্রিকেট শুরু হয়েছে তাঁর হাত ধরে, আর তিনি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখবেন না, এটা হয় নাকি! ইংল্যান্ডে বসে সেই ম্যাচের স্বাদ নেওয়ার ফাঁকে আসিফ ইকবাল বললেন, ‘‘একটা সময় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানে রুদ্ধশ্বাস লড়াই হত। রক্তচাপ বাড়িয়ে দেওয়া সব খেলা হত। ইদানীং অবশ্য সে রকম উত্তেজক ম্যাচ হয়নি।’’ রবিবারের ম্যাচটা তো আরও এক তরফা ভাবে শেষ হল।
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক মনে করছেন, এশিয়া কাপে যে দলগুলো খেলছে, তাদের মধ্যে অবশ্যই ভারতীয় দলের ভারসাম্য বাকিদের চেয়ে অনেক বেশি। সেখানেই এগিয়ে ভারত। ম্যাচ যখন শেষ হওয়ার পথে, লন্ডন থেকে ফোনে আসিফ বলছিলেন, ‘‘প্রথমে সবাই ভেবেছিল, বিরাট কোহালি না থাকায় ভারতীয় দলের ব্যাটিংয়ে প্রভাব পড়বে। কিন্তু কোথায় কী! কোহালিকে ছাড়াই তো দারুণ খেলে দিচ্ছে ভারত। যার পিছনে কারণ হল, আপনাদের দলের ব্যাটিং গভীরতা।’’
এর পরে আসিফের মন্তব্য, ‘‘আপনাদের ওপেনারেরা দারুণ ফর্মে আছে। প্রতিটা ম্যাচেই রান করে দিচ্ছে। এখানেই পার্থক্য হয়ে যাচ্ছে বাকি দলগুলোর সঙ্গে। এত ভাল শুরু মানে তো বিপক্ষ দল প্রথমেই পিছিয়ে পড়ল।’’
ভারতের ‘ডেথ ওভার’ বোলিংয়ের প্রশংসাও করলেন আসিফ। বলে দিলেন, ‘‘এক সময় তো মনে হচ্ছিল, পাকিস্তান ২৬০-২৭০ রান তুলে দেবে। কিন্তু আপনাদের স্লগ ওভারের বোলিং পাকিস্তানকে আড়াইশোর কমে আটকে রাখল। ওই ভুবনেশ্বর কুমারের একটা ওভারে গোটা কুড়ি রান উঠল ঠিকই, কিন্তু তার পরে আর মারতে দেয়নি বুমরা-রা।’’
বুমরাকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়কের মন্তব্য, ‘‘ওর অ্যাকশনের জন্য ব্যাটসম্যানদের একটু তো সমস্যা হয়েই যায়। তা ছাড়া ইয়র্কারও দারুণ ছেলেটার। যা ডেথ বোলিংয়ের ক্ষেত্রে লাগবেই।’’
পাকিস্তান ইনিংসে শোয়েব মালিকের ব্যাটিং ভাল লেগেছে আসিফের। কিন্তু একটা ব্যাপারে তিনি অবাক হয়েছেন। বলছিলেন, ‘‘শোয়েব মালিক কেন পাঁচ নম্বরে নামল, আমি বুঝলাম না। দেখলাম, চারে নামছে সরফরাজ। মানছি, আজ সরফরাজ রান পেয়েছে। কিন্তু ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যানকে সব সময় বেশি বল খেলার সুযোগ দিতে হয়।’’
শোয়েবের ব্যাটিং নিয়ে আসিফ আরও বলে গেলেন, ‘‘মালিক সত্যিই ভাল ব্যাট করল। ছেলেটা খুব ভাল ফর্মে আছে। প্রচুর শট আছে হাতে। আগের ম্যাচটা জিতিয়ে যে রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী, সেটা ব্যাটিংয়েই
বোঝা যাচ্ছিল।’’