প্র্যাকটিসে নেমে পড়লেন ঋদ্ধির বদলি পার্থিব। ছবি: পিটিআই।
মুরলী বিজয়ের পাশাপাশি বিরাট কোহালি আর চেতেশ্বর পূজারা প্রায় নিয়মিত রান করছে। তবু বলব, ভারতের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে আরও অবদান রাখতে হবে। কারণ প্রতিটা টেস্টে যদি রবিচন্দ্রন অশ্বিনের রানগুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়, তা হলে তো সমস্যা।
পরপর দুটো টেস্টে সাড়ে চারশোর বেশি রান করা টিমকে খারাপ বলা যাবে না। কিন্তু ইংল্যান্ড এতটাই চাঙ্গা আর লড়াকু যে ভারতীয়দের সর্বশক্তি নিংড়ে ওদের আটকাতে হয়েছে। এ বার সময় এসেছে ভারতের আগ্রাসী ভূমিকা নেওয়ার।
টিম এখন লোকেশ রাহুল আর অজিঙ্ক রাহানের দিকে তাকিয়ে। রাহুল কিছুটা নড়বড়ে। ওকে খেয়াল রাখতে হবে অনিশ্চয়তার সরণিতে যাতে ব্যাট বেশি না নিয়ে যায়। আর রাহানেকে ব্যাকফুটে আরও স্ট্রেট খেলতে হবে। ইংল্যান্ড একটা প্ল্যান নিয়ে খেলতে নেমেছে। ওরা কী চায়, কারও অজানা নয়।
ভারতীয় ব্যাটিং আরও ভাল হতে হবে বলছি একটা কারণে। সেটা হল— র্যাঙ্ক টার্নার না হলে ইংল্যান্ড দেখছি ভারতীয় স্পিনারদের মোটেই বিশেষ ভয় পাচ্ছে না। অশ্বিনের উপর নজর ওরা রাখছে। জাডেজা-জয়ন্তরা অশ্বিনকে যোগ্য সঙ্গতও দিচ্ছে। কিন্তু স্পিনারদের মোকাবিলা করার একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে ইংল্যান্ডের। ওপেনাররা নিজেদের আস্থা বাকিদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে। ভাগ্য ভাল, শামি আর উমেশ যাদব ধারাবাহিক হুঙ্কার দিয়ে যাচ্ছে।
নিয়মিত কিপার ঋদ্ধিমান সাহাকে তৃতীয় টেস্টে মিস করবে ভারত। যদিও তার বদলে ওরা পাচ্ছে পার্থিব পটেলের অভিজ্ঞতা। হালফিলে টপ আর লোয়ার অর্ডারের মধ্যে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র হয়ে দাঁড়িয়েছিল সাহা। সিরিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টেস্টে সেই কাজটা টিম এবং নিজের জন্য করতে হবে পটেলকে।
মোহালিতে চিরাচরিত ভাবে ভাল টেস্ট উইকেট হয়। প্রথম দিন সকালে সিমাররা সাহায্য পায়। এ দেশে এখন শীতের শুরু, তাই পাঁচ দিনই সেটা হলে অবাক হব না। শুরু থেকেই স্পিনাররা পছন্দের পিচ পাবে না। মোহালিতে কুড়িটা উইকেট তোলা সব সময় সহজ নয়।
ইংল্যান্ড এখন আহত। ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজ পারফরম্যান্স নিয়ে ওদের গর্ব আছে। এই অবস্থায় কোহালিদের যদি এগিয়ে থাকতে হয়, তা হলে বিশাখাপত্তনমের ফলাফল ঠান্ডাঘরে তুলে রাখতে হবে।