সাকিবকে ফিরিয়ে রায়নার উল্লাস। ছবি: এএফপি।
মীরপুরে বাংলাদেশ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে আবার পুরনো ছন্দেই দেখা গেল ভারতীয় দলকে। বাংলাদেশকে ৭৭ রানে হারিয়ে শেষ ম্যাচে কিছুটা হলেও মানরক্ষা হল ধোনিদের।
প্রথম দু’টো ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটে পুরেছে বাংলাদেশ। হারের সব দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন ধোনি স্বয়ং। তবে সিরিজ হাতছাড়া হলেও তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচের গুরুত্ব এতটুকু কমেনি কোনও দলের কাছেই। এক দিকে এই ম্যাচ যেমন ভারতের কাছে মুখরক্ষার ম্যাচ, তেমনই মাশরফিরাও ভারতকে হারিয়ে ‘বাংলাওয়াস’ করার জন্য বদ্ধপরিকর। তাই আপাতদৃষ্টিতে একপেশে সিরিজে এ দিনের ম্যাচকে গুরুত্বহীন মনে হলেও আসলে এর উত্তাপ এখনও এতটুকু কমেনি।
টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি ধোনিদের। ৩৯ রানেই প্রথম ধাক্কা খায় ভারতীয় ব্যাটিং লাইন। সপ্তম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজুরের বলে আউট হয়ে ফিরতে হয় রোহিত শর্মাকে। তবে শুরুর ধাক্কা সামলে ধবন-কোহলি জুটির হাত ধরে প্রথম একশোর গণ্ডি পেরোয় ভারত। কিন্তু ঠিক যখন মনে হচ্ছিল এই জুটি ভয়ঙ্কর হতে শুরু করেছে তখনই সাকিবের বলে আবার ছন্দপতন ঘটল। ব্যক্তিগত ২৫ রানের মাথায় সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন কোহলি। দলের রান তখন ১৯.৫ ওভারে ১১৪। এর পর শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ধোনি। ভারতের রান তোলার গতিতে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেননি সাকিব, রুবেল, মুস্তাফিজুর, মোর্তাজারা। ধবনের ৭৫ এবং ধোনির ৬৯ রানের দৌলতে তখন বেশ কিছুটা স্বস্তিতেই ভারত। রায়ডু একটুর জন্য নিজের অর্দ্ধশতরান হাতছাড়া করলেও তাঁর ৪৪ রান এবং রায়নার ২১ বলে ৩৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস মিলিয়ে ৫০ ওভারে ছয় উইকেটে ৩১৭ রানে থামে ধোনিবাহিনীর ইনিংস।
নিজেদের ব্যাটিংয়ের শুরুতেই ধাক্কা খায় মাশরফিরাও। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ধবল কুলকার্নির বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তামিম ইকবাল। এর পর সৌম্য সরকার ভারতীয় বোলিং দফতরে হামলা চালালেও তা বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দশম ওভারে ৬২ রানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়। ধবল কুলকার্নির বলেই আউট হয়ে ফিরতে হয় সৌম্যকে। বোলিং পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বুধবারের ম্যাচে ক্যাপ্টেন কুলের মস্তিষ্কের প্রশংসা না করলেই নয়। বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনকে কখনোই থিতু হতে দেননি তিনি। ক্রমাগত বোলিং পরিবর্তন আর ফিল্ডিংয়ে হেরফের এনে বার বার সমস্যায় ফেলেছেন সাকিবদের। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও সমান ভাবে বাংলাদেশকে চাপে ফেলেছেন রায়না। আট ওভারে ৪৫ দিয়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন তিনি। ম্যাচের সেরাও হন রায়না।