ODI

বৃষ্টিতে বাতিল ম্যাচ, ফাঁকা ইডেনেই লড়াই বিরাটদের

করোনাভাইরাসের ছায়ায় ক্রমে ক্রমশ ঢাকা পড়ছে ক্রীড়াবিশ্ব।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২০ ০৪:৩৩
Share:

সতর্কতা: ধর্মশালা স্টেডিয়ামের বাইরে মুখাবরণ পরে দর্শকেরা। এএফপি

১২ মার্চ: বৃষ্টির কোপে ধর্মশালায় ভেস্তে গেল ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচ। আর করোনাভাইরাসের কোপে সিরিজের বাকি দুটো ম্যাচ দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হতে চলেছে।

Advertisement

করোনাভাইরাসের ছায়ায় ক্রমে ক্রমশ ঢাকা পড়ছে ক্রীড়াবিশ্ব। যার জেরে ভারতে হতে চলা সমস্ত প্রতিযোগিতাই এখন থেকে দর্শকশূন্য অবস্থায় হবে। ইতিমধ্যে ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড-সহ সমস্ত ক্রীড়া সংস্থার কাছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও রকম জনসমাবেশ যাতে না হয়, তা দেখতে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ক্রীড়াসচিব রাধেশ্যাম জুলানিয়া বলেছেন, ‘‘স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে কোথাও জনসমাবেশ না হয়। এর মধ্যে খেলাও পড়ছে। আমরা সেই বার্তা ক্রিকেট বোর্ড-সহ জাতীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে জানিয়ে দিয়েছি।’’

ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার পরের দুটো ম্যাচ লখনউ (১৫ মার্চ) ও কলকাতায় (১৮ মার্চ)। এই দুটো ম্যাচই হবে ফাঁকা মাঠে। বিরাট কোহালিদের ম্যাচ দেখার জন্য টিকিটের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছিল কলকাতায়। কিন্তু বৃহস্পতিবারই সিএবির তরফে টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া এ দিন বলেছেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ আমরা মেনে চলব। টিকিট বিক্রি এখন বন্ধ আছে।’’ রাতেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, সিরিজের শেষ দুটো ম্যাচ ফাঁকা মাঠেই হবে। এ দিকে, বৃহস্পতিবার সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনও জানিয়ে দিয়েছে, শুক্রবার রঞ্জি ট্রফির শেষ দিনের খেলা দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হবে।

Advertisement

এ দিন করোনা-আতঙ্কের মধ্যেই ধর্মশালায় ওয়ান ডে সিরিজ শুরু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে টসই হতে পারেনি। হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় দর্শকদের। বিকেলের মধ্যে অবশ্য সেই হতাশা ছড়িয়ে পড়ে কলকাতার দর্শকদের মধ্যেও।

মুম্বইয়ে চলছিল সচিন তেন্ডুলকর, ব্রায়ান লারা, বীরেন্দ্র সহবাগদের নিয়ে ‘রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ ক্রিকেট।’ প্রথমে ঠিক হয়েছিল, এই ম্যাচগুলোও দর্শকশূন্য অবস্থায় হবে। কিন্তু এ দিন রাতে এই প্রতিযোগিতা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

জর্ডনে এশীয় অলিম্পিক্স কোয়ালিফায়ার্সে যোগ দিয়ে ফেরা ভারতীয় বক্সারদেরও আলাদা করে রাখা হবে যাঁর যাঁর বাড়িতে। এ দিনই ভারতীয় বক্সিং দল ভারতে ফেরে। বক্সিং সংস্থার এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর আর কে সাচেতি বলেছেন, ‘‘বক্সার এবং সাপোর্ট স্টাফকে বলে দেওয়া হয়েছে এখন কিছু দিন নিজের নিজের বাড়িতে বা হোস্টেলে থাকতে। বাইরে না বেরোতে। তবে জর্ডন অলিম্পিক সংস্থার পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ছাড়পত্র সবাইকেই দেওয়া হয়েছে।’’

এরই মধ্যে আবার নতুন এক সমস্যা দেখা দিয়েছে। ৮ মার্চ মেলবোর্নে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের দিন মাঠে এমন এক জন দর্শক ছিলেন, যিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। তবে মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই ঘটনায় সংক্রমণের আশঙ্কা নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন