বৃষ্টি-বিতর্কের পরে শিশিরের ভয় আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে

সোমবারই গুয়াহাটি থেকে ইনদওরে এসে পৌঁছেছেন কোহালিরা। ইনদওরের হোলকার স্টেডিয়ামের পিচ বরাবরই ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করে এসেছে। এক মাত্র সমস্যা হতে পারে শিশির। যা সামলানোর জন্য নেমে পড়েছেন সংগঠকরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:১৯
Share:

আগমন: সোমবার ইনদওরে

বৃষ্টি এবং বিতর্ক সঙ্গী ছিল প্রথম টি-টোয়েন্টিতে। আজ, মঙ্গলবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে থাকছে শিশিরের ভ্রুকুটি। রবিবার গুয়াহাটিতে টস হলেও একটা বলও করা যায়নি। এ বার ভারত-শ্রীলঙ্কা দ্বৈরথ ইনদওরে। যেখানে প্রচুর রান ওঠার আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি আশঙ্কা থাকছে শিশির নিয়েও।

Advertisement

সোমবারই গুয়াহাটি থেকে ইনদওরে এসে পৌঁছেছেন কোহালিরা। ইনদওরের হোলকার স্টেডিয়ামের পিচ বরাবরই ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করে এসেছে। এক মাত্র সমস্যা হতে পারে শিশির। যা সামলানোর জন্য নেমে পড়েছেন সংগঠকরা। এ দিন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার প্রধান পিচ প্রস্তুতকারক সমন্দর সিংহ চহ্বান বলেছেন, ‘‘আমরা বিশেষ রাসায়নিকের সাহায্য নেব শিশিরের মোকাবিলায়। স্প্রে করা হবে মাঠে। আশা করছি, দর্শকরা প্রচুর চার-ছয় দেখতে পাবেন।’’

গুয়াহাটিতে অবশ্য চরম হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে দর্শকদের। টস হওয়ার মিনিট পনেরোর মধ্যে বৃষ্টি নামে। যার পরে আর খেলা শুরু করা যায়নি। অভিযোগ উঠেছে, অসম ক্রিকেট সংস্থা যে পিচ আচ্ছাদনের ব্যবস্থা করেছিল, তাতে ছিদ্র থাকায় জল চুইয়ে পিচে ঢুকে যায়। এও জানা যাচ্ছে, ভারতীয় দলের ম্যানেজার পিচ ভিজে থাকার ব্যাপারটা তাঁর রিপোর্টে উল্লেখ করবেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা কেউ, কেউ অভিযোগ করেছেন স্থানীয় পিচ প্রস্তুতকারক এবং মাঠকর্মীরা যথেষ্ট দক্ষ না হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থাকে অভিযোগকারীদের এক জন বলেছেন, ‘‘নতুন যারা দায়িত্বে এসেছে, তাদের যথেষ্ট প্রশিক্ষণ ছিল না। তা ছাড়া আচ্ছাদনে যে ছিদ্র রয়েছে, তা ওরা জানবে না কেন? ওরা আচ্ছাদনের উপর দিয়ে সুপার সপার চালিয়ে দিয়েছিল। যার ফলে জল পিচে ঢুকে যায়।’’ জানা যাচ্ছে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিব জয় শাহের কাছে ম্যানেজার যে রিপোর্ট দেবেন, তাতে এ সবেরই উল্লেখ থাকবে।

রবিবার রাত সাড়ে ন’টায় শেষ বার পিচ পরীক্ষা করে ম্যাচ বাতিল করে দেন আম্পায়াররা। এখন আবার যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অসম ক্রিকেট সংস্থার সচিব দেবজিৎ শইকিয়া। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি জানি না কেন আম্পায়াররা সাড়ে ন’টার সময় মাঠ পরীক্ষা করতে নেমেছিলেন। ক্রিকেটাররা প্রায় সবাই তো ন’টার মধ্যে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।’’

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এই টি-টোয়েন্টি সিরিজ আবার শিখর ধওয়নের কাছে বড় পরীক্ষার। চোট সারিয়ে দলে ফিরে এসেছেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। যে সময়ের মধ্যে আবার ওপেনার হিসেবে দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কে এল রাহুল। কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের মতো প্রাক্তন অধিনায়ক বলে দিয়েছেন, তিনি ধওয়ন নন, রাহুলকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখতে চান।

ধওয়ন জানেন, তাঁর সামনে চ্যালেঞ্জটা কঠিন। বিসিসিআই টিভি-তে তিনি বলেছেন, ‘‘গত বছর আমি চোট-আঘাতে ভুগেছিলাম। কিন্তু এগুলো খেলারই অংশ। সে সব ভুলে এখন আমি নতুন ভাবে শুরু করতে চাই। তবে জানি, আমাকে অনেকটা রাস্তা যেতে হবে।’’ তাঁর সামনে কী লক্ষ্য, সেটাও জানিয়েছেন এই ওপেনার। ধওয়ন বলেছেন, ‘‘এ বছর দলের জন্য যত বেশি সম্ভব রান করতে চাই। ম্যাচের উপরে প্রভাব ফেলতে চাই।’’

বারবার চোটের জন্য দল থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে ধওয়নকে। এতে ক্রিকেট জীবনে কতটা ক্ষতি হয়েছে আপনার? ধওয়নের জবাব, ‘‘চোট লাগলেও তা নিয়ে আমি হইচই করি না। আমি চেষ্টা করি ইতিবাচক থাকতে। দেখেছি, ইতিবাচক থাকলে এই সমস্যাগুলো তাড়াতাড়ি কাটিয়ে ওঠা যায়।’’ ধওয়ন জানেন, এই সিরিজ তাঁর ছন্দে ফেরার লড়াই। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি সব সময় নিজের খেলাটাকে উন্নত করতে চেয়েছি। নতুন ধরনের শট যোগ করতে চেয়েছি অস্ত্র ভাণ্ডারে। এ বারও তার কোনও রকম ব্যতিক্রম হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন