বিদ্রোহ ছেড়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দল পাঠাচ্ছে বিসিসিআই

বিদ্রোহের রাস্তা ত্যাগ করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দল পাঠাতে সম্মত হল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। রবিবার দিল্লিতে বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সভায় সরকারি ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আগামী ৪৮ ঘণাটর মধ্যেই বিরাট কোহালির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা করা হবে।

Advertisement

সুমিত ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৭ ০৪:৩১
Share:

বিদ্রোহের রাস্তা ত্যাগ করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দল পাঠাতে সম্মত হল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। রবিবার দিল্লিতে বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সভায় সরকারি ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আগামী ৪৮ ঘণাটর মধ্যেই বিরাট কোহালির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা করা হবে। আইসিসি লভ্যাংশ থেকে যে টাকাটা পাওয়া যাচ্ছে না, সেটা কী ভাবে তোলা যেতে পারে তা নিয়েও আলোচনা চলছে। শোনা যাচ্ছে নতুন কোনও টুর্নামেন্ট আয়োজন করে এই আর্থিক ক্ষতি মেটাতে পারে বোর্ড।

Advertisement

আদতে রবিবারের মহাসভার দিকে সকলে তাকিয়ে থাকলেও শনিবারেই অন্য বৈঠককে কেন্দ্র করে রাজধানীতে উপস্থিত হয়েছিলেন বোর্ডের বেশির ভাগ শীর্ষস্থানীয় কর্তা। সভার আগে ঘরোয়া আলোচনাতেই ঠিক হয়ে যায়, ভারতীয় দলের কথা ভেবে যুদ্ধের রাস্তা ছেড়ে আপাতত শান্তির বার্তা মেনে নেওয়া হবে। তবে সেই শান্তির বার্তা আইসিসি-র দিক থেকে আসেনি। এসেছিল সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত পর্যবেক্ষকদের দিক থেকে। তাঁরাই বোর্ড সদস্যদের বোঝান যে, ভারতীয় ক্রিকেটের কথা ভেবে না খেলার মতো চরমপন্থা অবলম্বন করা ঠিক হবে না। কেউ কেউ বলেন, ক্রিকেটারেরা অবশ্যই খেলতে যেতে চান। গত বারের চ্যাম্পিয়ন দল ভারত। খেলতে না গেলে ভুল হবে।

পর্যবেক্ষকরা এত দিন চিঠি দিয়ে সতর্ক বার্তা জারি করছিলেন। এ দিন কিন্তু তাঁদের সুর হুমকির নয়, বোঝানোর ছিল। সেটা দেখে সুর নরম করতে চান কর্তারা। তবে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, এন শ্রীনিবাসন গোষ্ঠী ঝামেলা চালিয়ে যেতে চেয়েছিল। অনুরাগ ঠাকুর এবং অন্যান্য কয়েক জন প্রভাবশালী কর্তার পরিচালনায় যুদ্ধের মেজাজ ত্যাগ করে বোর্ড শান্তির রাস্তায় হাঁটতে রাজি হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: হ্যাটট্রিকের ধাক্কায় চাপে কেকেআর

কর্তারা যদিও ঘরোয়া আলোচনায় প্রশ্ন তোলেন, আইসিসি-র টাকা কমিয়ে দেওয়া নিয়ে তা হলে কী করা হবে? ঠিক হয়েছে, পদাধিকারীদের মধ্যে কয়েক জনকে দায়িত্ব দেওয়া হবে আইসিসি-র সঙ্গে লভ্যাংশের পরিমাণ চূড়ান্ত করার জন্য। যদি আগের মতো টাকা না দেয় নিয়ামক সংস্থা, তা হলে এক হাজার কোটি টাকার মতো ক্ষতি হতে পারে বোর্ডের। সেই টাকাটা তোলা যায় কী ভাবে তা নিয়েই রাস্তা খোঁজা হবে রবিবারের সভায়। শোনা যাচ্ছে, নানা প্রস্তাবের মধ্যে এটাও রয়েছে যে, নতুন কোনও টুর্নামেন্টের আয়োজন করে যদি ক্ষতি হওয়া টাকাটা তোলা যায়।

সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত পর্যবেক্ষক দল এবং কর্তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার আবহে শোনা যাচ্ছে, লোঢা সুপারিশ নিয়েও যুদ্ধের মেজাজ অনেকটা হাল্কা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন