দেশের মাঠে চলছে বিজয়রথ...
India

শুরুতে থাকুক রোহিত-রাহুল, জায়গা পাকা করল শিখরও

মণীশ পাণ্ডে বরং ১৮ বলে ৩১ রান করে বার্তা দিল— টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাকে ভুলো না।

Advertisement

সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:১৮
Share:

অপ্রতিরোধ্য: শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। ট্রফি নিয়ে উল্লাস ভারতীয় ক্রিকেটারদের। এএফপি

ভারতের আসন্ন নিউজ়িল্যান্ড সফরের জন্য দল নির্বাচন রবিবার। যে সফরে ভারত পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। তার আগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ জিতে ভালই প্রস্তুতি সেরে রাখল কোহালিরা।

Advertisement

শ্রীলঙ্কার ইনিংসে খেলাটা শেষ হয়ে গিয়েছিল প্রথম ছয় ওভারেই। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই নবদীপ সাইনি (৩-২৮) যখন কুশল পেরেরাকে (৭) ফের নিখুঁত ইয়র্কারে আউট করল, তখন দ্বীপরাষ্ট্রের ডাগ আউট এক ঝলক ক্যামেরায় দেখাল। ম্রিয়মান মুখগুলো বলে দিচ্ছিল লড়াই শেষ।

এই ম্যাচটা ছিল পরীক্ষার মঞ্চও। যেখানে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে মণীশ পাণ্ডে সসম্মানে পাশ। সঞ্জু স্যামসন ব্যর্থ। ওকে ব্যাটসম্যান সহায়ক পিচে তিন নম্বরে পাঠানো হয়েছিল। হাতে ছিল ৫৫ বল। সঞ্জু প্রথম বলেই লক্ষ্মণ সান্দাকানকে লং অফের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে শুরু করে। কিন্তু মনে হয়নি ও দাপটের সঙ্গে শুরু করতে চলেছে। বরং মনে হয়েছিল, দীর্ঘ দিন বসে থাকার পরে মাঠে নেমে স্নায়ুর চাপে ভুগছে ও। তাই একটু ঝুঁকি নিয়ে বড় শট খেলেছে। তা প্রমাণ হয় পরের ওভারেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার (১-২৭) গুগলির সামনে মন্থর ভাবে ব্যাট নামাতে গিয়ে এলবিডব্লিউ (৬) হয়ে ফেরার সময়ে।

Advertisement

আরও পড়ুন: বুমরার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সতর্ক থেকে চাপ বাড়াতে চান না ফিঞ্চ

মণীশ পাণ্ডে বরং ১৮ বলে ৩১ রান করে বার্তা দিল— টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাকে ভুলো না। ঝোড়ো ইনিংস খেলার পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও ছেলেটা ১৫-২০ রান বাঁচায়। অতীতে অস্ট্রেলিয়ায় সফল হয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভাল পারফরম্যান্স করেছে। ভারতীয় ইনিংসের শেষের দিকে মণীশ ও শার্দূল ঠাকুরের ১৪ বলে ৩৭ রানের জুটির জন্যই ভারতের রান ২০ ওভারে ২০১-৬ হয়েছে।

আগ্রাসী: ব্যাটে আট বলে ২২ রান। বল হাতে দু’উইকেট। ম্যাচের সেরা শার্দূলকে অভিন্দন সতীর্থ বুমরার। এপি

শার্দূল ঠাকুর (৮ বলে ২২ রান) খেলল মুম্বইকর ক্রিকেটারের মতোই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০-১১ বলে রানটা দ্রুত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যা দরকার, সেটাই করেছে ও। পাশাপাশি অভাবনীয় উন্নতি করেছে স্লোয়ার ডেলিভারিতে। ওকে এখন স্কোয়ার কাট বা পুল মারা যাচ্ছে না। কারণ, ব্যাটসম্যানকে আগের মতো জায়গা দিচ্ছে না। কার্যকরী ব্যাটিংয়ের পরে ১৯ রানে দু’উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা শার্দূলই।

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ফের ব্যর্থ সিন্ধু ও সাইনা

দেখার ছিল নিউজ়িল্যান্ডে ওপেনার হিসেবে শিখর ধওয়ন দাবি জানাতে পারে কি না। ওর সমস্যা ছিল আত্মবিশ্বাসে। এ দিনও প্রথম নয় বলে আড়ষ্ট ছিল। কিন্তু তার পরেই ধনঞ্জয় ডি’সিলভাকে (০-১৩) মিড অনের উপর দিয়ে চার মেরে আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পায়। শিখর (৩৬ বলে ৫২) নিজের ছন্দে ‘হাত খুলে’ খেলেছে। ষষ্ঠ ওভারে লাহিরু কুমারাকে (১-৪৬) যে নিখুঁত কভার ড্রাইভে চার মারল, সেটাও দুর্দান্ত। নিউজ়িল্যান্ডগামী দলে ওপেনার হিসেবে শিখর মনে হচ্ছে জায়গা করে নেবে। তবে অক্টোবর মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরুতে রোহিত শর্মা ও কে এল রাহুলই নামবে শুরুতে। দলে থাকবে শিখরও।

বিরাট (১৭ বলে ২৬) মণীশ, সঞ্জুদের দেখে নেওয়ার জন্য নেমেছিল ছয় নম্বরে। ১৭ ওভারে ম্যাথেউসকে (০-৩৮) লং অফের উপর দিয়ে মারা বিরাটের ছক্কা দিনের সেরা শট। বলটা স্লোয়ার ছিল। বিরাট অপেক্ষা করেই বলটা দুর্দান্ত ভাবে মাঠের বাইরে পাঠায়। শিক্ষার্থী ক্রিকেটারেরা বিরাটের এইসব ইনিংস দেখলে অনেক কিছুই শিখবে। কারণ কোহালি ওদের কাছে একটা চলমান ক্লাসঘরও বটে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন