PV Sindhu

ডিসেম্বরে ফিরছেন সিন্ধু, জোর মানসিক সুস্থতায়

পরের দু’টি বিডব্লিউএফ ওয়ার্ল্ড ট্যুর সুপার ৭৫০ প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবেন না সিন্ধু। এই দু’টি প্রতিযোগিতা হল ডেনমার্ক ওপেন এবং ফরাসি ওপেন। দু’টোই অক্টোবরে হবে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২২ ০৭:০১
Share:

লক্ষ্য: ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালসে ফিরতে চান সিন্ধু। টুইটার

পায়ের পাতার চোট সারিয়ে দ্রুতই আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্য স্থির করেছেন পি ভি সিন্ধু। ডিসেম্বরে ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালস রয়েছে। সেখানেই ফিরে আসতে চান ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের রানি।

Advertisement

এমনিতে বিশ্বের প্রথম সারির ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের মধ্যে সিন্ধুর ফিটনেস অন্যতম সেরা। খুব কমই তাঁকে প্রতিযোগিতার বাইরে থাকতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু পায়ের পাতার এই চোট ভুগিয়েছে তাঁকে। বার্মিংহামে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জেতার পথে যে চোট তিনি পেয়েছিলেন। চোটের যন্ত্রণা নিয়েই সোনা জেতেন তিনি। ‘‘চোটের এই সময়টা নিয়ে ইতিবাচক ভাবে চিন্তা করাও যায়। আমার মনে হচ্ছে, এটাই একমাত্র বিশ্রাম আমি পাচ্ছি কারণ পরের বছরটা খুবই নিংড়ে নেওয়া একটা বছর হতে চলেছে,’’ বলেছেন সিন্ধু। যোগ করছেন, ‘‘সামনের বছর একটার পর একটা প্রতিযোগিতায় খেলে যেতে হবে।’’ একই সঙ্গে চোটের কারণে খেলতে পারছেন না বলে বিষণ্ণও তিনি। বলেছেন, ‘‘নিশ্চয়ই খারাপ লাগছে যে, আমাকে বাইরে থাকতে হচ্ছে, খেলতে পারছি না। তবে শরীরের দিকটা দেখাও জরুরি। উচ্চ স্তরের খেলার মান ধরে রাখতে হলে সর্বোচ্চ শারীরিক সক্ষমতায় থাকাটাও দরকার।’’ কবে তিনি ফিরতে পারবেন, সে ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে সিন্ধুর মন্তব্য, ‘‘আমি ভাল উন্নতি করছি। আশা করছি, ডিসেম্বরে ফের শুরু করতে পারব।’’

পরের দু’টি বিডব্লিউএফ ওয়ার্ল্ড ট্যুর সুপার ৭৫০ প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবেন না সিন্ধু। এই দু’টি প্রতিযোগিতা হল ডেনমার্ক ওপেন এবং ফরাসি ওপেন। দু’টোই অক্টোবরে হবে। চিনে ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনাল্‌স হবে ডিসেম্বরের ১৪-১৮। সেই প্রতিযোগিতাতে নামাই কি তাঁর লক্ষ্য? জিজ্ঞেস করা হলে একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে আসা সিন্ধু সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, অবশ্যই ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালসে নামতে চাই। ডেনমার্ক বা প্যারিসে থাকতে পারছি না, তাই চিনে ফাইনাল্‌সে অবশ্যই আমি খেলতে চাই।’’

Advertisement

সম্প্রতি বিরাট কোহলি থেকে শুরু করে টেনিস তারকা নেয়োমি ওসাকা মানসিক সুস্থতার উপর আলোকপাত করেছেন। বিশেষ করে, কোভিডের সময়ে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে থাকতে মানসিক অবসাদে ভুগছেন খেলোয়াড়েরা, এমন মন্তব্য করেছেন তাঁরা। সেই তর্ককে উস্কে দিলেন সিন্ধু। বলে দিলেন, খেলোয়াড়দের মানসিক সুস্থতার দিকটা অবহেলিত, উপেক্ষিত। তা নিয়ে আরও ভাবা উচিত। ‘‘প্রত্যেকে এই মানসিক ক্লান্তির দিকটা অনুভব করে। খেলে যাচ্ছ, ম্যাচ হারছ, কী করবে ভেবে পাচ্ছ না। মাঝেমধ্যে এ রকম তো হতেই পারে। কখনও কখনও হতাশ লাগতেই পারে। সব সময় তো একটা মানুষ খেলাকে উপভোগ করে যেতে পারে না। এর মধ্যে ভুল কিছু নেই,’’মন্তব্য সিন্ধুর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন