India

সবুজে ভয় নেই রাহানেদের

ওয়েলিংটন থেকে ক্রাইস্টচার্চে এসেও বিরাট কোহালি এবং তাঁর দলের জন্য আমন্ত্রণে কোনও ফারাক নেই নিউজ়িল্যান্ডের তরফে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:০৬
Share:

মগ্ন: রানে ফেরাও। প্রস্তুতির ফাঁকে হাতিয়ারকে কি তাই বলছেন বিরাট? টুইটার

ওয়েলিংটন থেকে ক্রাইস্টচার্চে এসেও বিরাট কোহালি এবং তাঁর দলের জন্য আমন্ত্রণে কোনও ফারাক নেই নিউজ়িল্যান্ডের তরফে। সেই সবুজ পিচই পরিবেশন করা হয়েছে অতিথিদের সেবায়। এবং এমনই সবুজ সেই পিচ যে, ভারতীয় বোর্ডের টুইটারেই তার ছবি তুলে দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘স্পট দ্য পিচ’। মানে সবুজ আউটফিল্ডের থেকে বাইশ গজকে আলাদা করুন তো দেখি!

Advertisement

যদিও ভারতীয় ব্যাটসম্যানেরা ওয়েলিংটনের থেকে ক্রাইস্টচার্চের পিচ দেখে বেশি আশাবাদী। এখানেও একই রকম সুইং এবং সিম করতে পারে বল। কিন্তু বেসিন রিজার্ভে যে রকম বল থমকে আসছিল আর দুর্বোধ্য বাউন্স ছিল, সে রকম এখানে প্রত্যক্ষ করতে হবে না বলেই অজিঙ্ক রাহানেরা মনে করছেন। ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলে গেলেন, ‘‘ভারতীয় এ দলের ছেলেরা এখানে খেলে গিয়েছে। হনুমা বিহারী ৫১ আর ১০০ নট আউট করেছিল। ও আমাদের বলেছে, এখানকার উইকেট অনেক ভাল। ঠিক মতো বাউন্স এবং পেস রয়েছে।’’ রাহানে যোগ করছেন, ‘‘প্রথম দিনে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের পরিবেশ বুঝে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী খেলতে হবে।’’

ওয়েলিংটনে হারের পরে বিরাট কোহালি বলে গিয়েছিলেন, পিচে বল সঠিক গতিতে আসছিল না। ঘাসের পিচ থাকলেও গতির অভাবের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই সমস্যায় পড়েছিলেন ব্যাটসম্যানেরা। রাহানেও সেই ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত। বলছেন, ‘‘ওয়েলিংটনে সুইং, সিম হচ্ছিল। কিন্তু পিচটা নরম ছিল। সেই কারণে ড্রাইভ করতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। এখানে উইকেট শক্ত, তাই প্রকৃত গতি এবং বাউন্স থাকবে। ব্যাটসম্যানেরা শট খেলতে পারবে।’’

Advertisement

দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় কী করণীয়? রাহানের সোজা কথা, ‘‘নিজের দক্ষতায় আস্থা রাখতেই হবে। তা সে বল যতই সুইং আর সিম করুক। পরিবেশ নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু তা নিয়ে ভেবে তো লাভ নেই। আসল হচ্ছে পরিবেশকে কী ভাবে সামলাতে পারছি।’’ এমনকি, এমনও বললেন যে, ‘‘ওয়েলিংটনে কী ঘটেছে, তা ভুলে যাওয়াই ভাল। কোথায় ভুল হয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে সংশোধন করাটাই জরুরি।’’ রাহানে ধরিয়ে দিচ্ছেন, টেস্টের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আগমনে সিরিজ জেতাটাই আর সব কিছু নয়। প্রত্যেকটি টেস্টই গুরুত্বপূর্ণ কারণ একটি টেস্ট জিতলে ৬০ পয়েন্ট পাওয়া যাবে। ‘‘সেই কারণেই আমি বলেছি, ওয়েলিংটন ভুলে যাও। ভুল থেকে শিক্ষা নেব নিশ্চয়ই কিন্তু ওই হার নিয়ে পড়ে থেকে লাভ নেই। এখানে যদি আমরা জিততে পারি তা হলে ৬০ পয়েন্ট পাব এবং টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে অন্যদের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকব।’’

অশ্বিনের বদলে রবীন্দ্র জাডেজাকে খেলানো হবে কি না, তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি রাহানে। বলেন, ‘‘এখনও আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। অশ্বিন বেশ ভাল বল করেছে ওয়েলিংটনে। দু’জনেই খুব দক্ষ ক্রিকেটার। বাইরে এলে সত্যিই খুব কঠিন সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়ায়, কাকে খেলানো হবে? অশ্বিন না জাডেজা!’’ রাহানে মনে করছেন, নিউজ়িল্যান্ডের বোলাররা যে কোণ ব্যবহার করছেন, সেটাকে আরও ভাল ভাবে সামলাতে হবে তাঁদের। তার জন্য কী তারতম্য ঘটানো দরকার, তা নিয়ে অনুশীলনে পড়ে থাকতে দেখা গেল কোহালিদের। সিরিজে প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে সাধনায় খামতি নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন