ভারতের দরজার সামনে নতুন চেহারার অতিথি অপেক্ষা করে থাকতে পারে। ইংল্যান্ডের অবরোধ এখনও ওঠেনি। দাঁড়ানোর জমি হারিয়ে ওরা ফুঁসছে। শেষ লড়াইয়ের লক্ষ্যে ওরা নতুন সৈন্যসামন্ত নিয়ে তৈরি হচ্ছে। দু’দেশের ডুয়েলের চূড়ান্ত মুহূর্ত দেখা যাবে মুম্বইয়ের যুদ্ধে। যা সিরিজের ভাগ্য ঠিক করে দেবে। ওয়াচটাওয়ারে কোহালি আর ওর সেনাকে খুব সতর্ক থাকতে হবে।
শত্রুপক্ষের দিকে ভারতের দূরবীন তাক করার দুটো নির্দিষ্ট কারণ আছে। আরও ভাল করে বললে, দুটো তথ্য খুঁজতে। এক নম্বর, আক্রমণের প্রথম সারিতে হাসিব হামিদের বদলি কে হতে চলেছে? আর দুই, বাড়তি স্পিনারের যে এয়ারগান ওরা ব্যবহার করছিল, তার জায়গায় সত্যি সত্যিই হাউইটজারের মতো কোনও বিপজ্জনক আগ্নেয়াস্ত্র এসেছে কি না। হামিদের বদলি যে-ই হোক না কেন, তাকে একটা বিরাট শূন্যতা ভরাট করতে হবে। আহত তরুণের পক্ষে যা খুব বড় প্রশংসা। রুট একটা বিকল্প হতে পারে। আর স্পিনারদের প্রসঙ্গে বলব, ইংল্যান্ড এই ব্যাপারটা নিয়ে এখন পর্যন্ত স্বপ্নচারিতায় ভুগছে। মানে ঘুমের মধ্যে হাঁটছে আর কী! এক ইনিংসে গড়ে পনেরো ওভারও বল করেনি মইন আলি। লম্বা স্পেলও করেনি। তবু ওরা তিন জন স্পিনার নিয়ে ঘুরছে।
ওয়াংখেড়েতে তাই ভারতকে পেস নির্ভর আক্রমণের মোকাবিলা করার জন্য তৈরি থাকতে হবে। জানা কথা, এখানকার পিচে বলটা ভাল যায়। এটাও স্বাভাবিক যে, দিনের শুরুতে আর্দ্রতা থাকবে। তার উপর ভারত মহাসাগর থেকে মাঝে মাঝেই ভিজে হাওয়া আসে, যাতে বলটা সুইং করে। এ সবের সঙ্গে যদি পিচে টাটকা ঘাস থাকে, তা হলে ব্যাটসম্যানদের প্রচণ্ড সতর্ক থাকতে হবে।
ভারতীয় ওপেনারদের নিয়ে যে রকম ধাঁধা চলছে, তা অস্বস্তিকর। অজিঙ্ক রাহানেও লোয়ার অর্ডারকে খুব তাড়াতাড়ি ক্রিজে এনে ফেলছে। লোকেশ রাহুল আর ঋদ্ধিমান সাহার কাজটা একসঙ্গে করে দেওয়ার পরে পার্থিব পটেলকেও অত সহজে ছেঁটে ফেলা যাবে না! যার জন্য বাড়তি ব্যাট হিসেবে করুণ নায়ারকে খেলানো গিয়েছিল।
তবে সবচেয়ে বড় আলোচনা হতে পারে স্পিনারের বিকল্প নিয়ে। ভারত কি বাড়তি পেসার খেলাবে? তা হলে জয়ন্ত যাদবকে বেঞ্চে বসতে হয়। যদিও আমার মনে হয় সেটা করলে বোকামি হবে। পিচের ক্যারি তরুণ অফস্পিনারকে সাহায্য করবে। পিচ যদি শুকনো হয়, উইকেটে বাঁধুনির জন্য যদি টাটকা ঘাস না থাকে, তা হলে স্পিনারদের পুরো সাহায্য দরকার হবে ভারতের।
তাই যতক্ষণ না মুম্বইয়ের দুর্গ সংরক্ষিত করা হচ্ছে, ততক্ষণ যাবতীয় উৎসব মুলতবি রাখতে হবে।
চেন্নাই টেস্টের জন্য তৈরি শ্রীনির সংস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদন
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যুর জেরে চেন্নাইয়ে আসন্ন ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সরে যেতে পারে? মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশের ক্রিকেট মহলে ওঠা এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর বোর্ড দিতে না পারলেও এন শ্রীনিবাসনের তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে, তাদের এই টেস্ট আয়োজন করতে কোনও অসুবিধা নেই। এ দিন বোর্ডের এক সাংবাদিক বৈঠকে সচিব অজয় শিরকে এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘আমরা এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। পরে সিদ্ধান্ত নেব।’’ ও দিকে টিএনসিএ সচিব কাশী বিশ্বনাথ বলেন, ‘‘রাজ্যে সাত দিন রাষ্ট্রীয় শোক। তিন দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ। তাই রঞ্জি ম্যাচ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু টেস্ট তো ১৬ ডিসেম্বর থেকে। তাই তখন টেস্ট আয়োজনে সমস্যা নেই।’’