আইপিএল মানেই ব্যাট আর বলের ধুন্ধুমার মহারণ। একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার জন্য বোলাররা নতুন অস্ত্রে শান দেন, তো ব্যাটসম্যানরা অস্ত্রাগার থেকে বের করে আনেন অভিনব সব শট। তেমনই কিছু শট দেখা যেতে পারে এই আইপিএলেও। দেখে নেওয়া যাক কী ধরনের শট দেখা যেতে পারে।
কোহালি হুইপ: সামনের পায়ে ভর দিয়ে কব্জির মোচড়ে অফস্টাম্পের বল চাবুক মারার ভঙ্গিতে পাঠিয়ে দেবেন মিডউইকেট বাউন্ডারিতে। বিরাটের বিশেষ শট।
ধোনি হেলিকপ্টার: শূন্যে লাফিয়ে এই শট খেলতে হয়। পায়ের গোড়া থেকে ব্যাট ঘুরিয়ে খেলা হয় বলেই নাম হেলিকপ্টার। ইয়র্কারও উড়ে যায় গ্যালারিতে।
কার্তিক স্কুপ: হাঁটু মুড়ে বসে চামচের মতো বলটাকে তুলে দাও উইকেটকিপারের মাথার উপর দিয়ে। দারুণ কাজের শট স্কুপ। কেকেআর অধিনায়কের সেরা অস্ত্র।
স্মিথ সার্ভ: শর্ট-পিচ্ড বল পেলে টেনিসের সার্ভিসের ভঙ্গিতে খেলা হয়। তাই এমন নামকরণ। এই শটের বিশেষজ্ঞ স্টিভ স্মিথ নেই, তা-ও দেখা যেতেই পারে।
পিটারসেন সুইচ হিট: ডানহাতি ব্যাটসম্যান, শট নেওয়ার আগে স্টান্স পাল্টে বাঁহাতি হয়ে বলটি উড়িয়ে দিলেন। এটাই ‘সুইচ হিট’। প্রবক্তা কেভিন পিটারসেন। ভাল খেলেন ওয়ার্নার-ও। তাঁরা না থাকলেও দেখা যেতে পারে।
স্কুপ থেকে ফ্লেমিঙ্গো: মাঠের সর্বত্র অভিনব সব শট খেলতে পারেন এবি ডিভিলিয়ার্স। সেই কারণেই বলা হয় ‘এ বি ৩৬০ ডিগ্রি’। পাখির মতো উড়ন্ত অবস্থায় খেলতে পারেন ফ্লেমিঙ্গো শট। স্কুপ শটে দুরন্ত, আবার বল উড়িয়ে দিতে পারেন ধ্রুপদী ভঙ্গিতেও।
ম্যাক্সি রিভার্স সুইপ: ডানহাতি ব্যাটসম্যান সুইপ মারলে যায় অনের দিকে। এটা হাত ঘুরিয়ে অফের দিকে খেলা হয়। তাই ‘রিভার্স’। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ভাল মারেন।
হার্দিক আপারকাট: তেন্ডুলকর এই শটের মাস্টার ছিলেন। অফস্টাম্পের উপর শর্ট বল চামচের মতো তুলে দাও স্লিপের উপর দিয়ে। এখন ভাল মারেন হার্দিক পাণ্ড্য।
গেল পাঞ্চ: কত ভাল বলও ক্রিজে দাঁড়িয়ে এভাবে অবলীলায় উড়িয়ে দেন ক্রিস গেল। পরিচিত ভঙ্গি। লং অনের উপর দিয়ে গ্যালারিতে। অথবা মাঠের বাইরে!
নাটমেগ: সত্যিই এমন শট খেলতে দেখা যায় ক্রিকেটে। দু’পায়ের ফাঁক দিয়ে ‘নাটমেগিং’-এর মতো বল চলে গেল ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে। স্টিভ স্মিথ খেলেন।