মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও বন্ধ স্টেডিয়াম

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও তালাবন্ধ রয়েছে জলপাইগুড়ির স্পোর্টস ভিলেজের ইন্ডোর স্টেডিয়াম। গত মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক সেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেছিলেন, প্রতি দিনই স্পোর্টস কমপ্লেক্স খোলা থাকবে। নিয়মিত খেলা চালু হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৫ ০৩:৪৭
Share:

তালাবন্ধ করা রয়েছে জলপাইগুড়ির স্পোর্টস ভিলেজের ইন্ডোর স্টেডিয়ামের দরজা। ছবিটি তুলেছেন সন্দীপ পাল।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও তালাবন্ধ রয়েছে জলপাইগুড়ির স্পোর্টস ভিলেজের ইন্ডোর স্টেডিয়াম। গত মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক সেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেছিলেন, প্রতি দিনই স্পোর্টস কমপ্লেক্স খোলা থাকবে। নিয়মিত খেলা চালু হবে।

Advertisement

বৈঠক সেরে মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু বুধবারও জলপাইগুড়ির ইন্ডোর স্টেডিয়াম তালা খোলেনি। তবে ঠিকাদার সংস্থার তরফে এ দিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের কর্তাদের হাতে স্টেডিয়ামের চাবি তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন কমিটি না হওয়া পর্যন্ত স্টেডিয়ামটি তালাবন্ধই থাকবে বলে জানা গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সূত্রে খবর, স্টেডিয়ামের দায়িত্ব রাজ্য ক্রীড়া দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। নতুন কমিটি গঠন এবং হস্তান্তর প্রক্রিয়ার আগে পদ্ধতিগত কারণেই স্টেডিয়ামে খেলা শুরু করতে জটিলতা রয়েছে। সে কারণেই আপাতত বন্ধ রাখা হবে সেটি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, দ্রুত নতুন কমিটি গঠন করা হবে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার অসীমবাবু বলেন, “নতুন কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কমিটি গঠন করা হলে কমিটির হাতে তালা-চাবি দিয়ে দেওয়া হবে। তারপর কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করা হবে।”

উদ্বোধনের পরেও স্টেডিয়ামটি তালাবন্ধ হয়ে থাকায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে শহর তথা জেলার ক্রীড়া মহলে। ৩ ডিসেম্বর উদ্বোধনের পর থেকে দু’টি খেলার জন্য দু’দিন এবং উত্তরবঙ্গ উৎসবের জন্য খোলা হয় স্টেডিয়ামটি। তা ছাড়া সেটি আগাগোড়া তালাবন্ধ অবস্থাতেই ছিল। জেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী তিন মাসেও ইনডোরে কোনও প্রতিযোগিতামূলক খেলা নেই।

Advertisement

প্রতিযোগিতামূলক খেলা না থাকলেও জলপাইগুড়ি শহরের খেলোয়াড়েরা এখানে অনুশীলন করতে ইচ্ছুক। তাঁরা নিয়মিত জেলা ক্রীড়া সংস্থার অফিসে এসে অনুশীলন করতে দেওয়ার দাবিও জানাচ্ছেন। জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব অঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, “বিপাকে পড়েছি আমরাই। সকলেই নানা আবেদন নিয়ে আমাদের কাছে আসছে। আমরা কাউকে কিছু বলতে পারছি না।’’ অঞ্জনবাবুর আশঙ্কা, ‘‘ব্যবহারের অভাবে সব কিছু নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অবিলম্বে কমিটি গঠন করে অনুশীলনের জন্য ইন্ডোরের জায়গাটি খুলে দেওয়া জরুরি।” জলপাইগুড়ির বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ প্রাক্তন খেলোয়াড় সন্তু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “খেলাধূলার স্বার্থে প্রশাসনিক ব্যক্তিদের পাশাপাশি ক্রীড়া সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা দরকার। না হলে কোনও কিছু ফলপ্রসূ হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন