‘এত সেলফি জীবনে তুলিনি’

আইপিএল ইতিহাসে তারা বরাবর তলানিতে থেকে অভ্যস্ত। কিন্তু আইপিএল নাইনে এসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। আট ম্যাচে দশ পয়েন্ট নিয়ে রাহুল দ্রাবিড়-জাহির খানের দিল্লি এখন তিন নম্বরে।

Advertisement

চেতন নারুলা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৬ ০৪:০৫
Share:

আইপিএল ইতিহাসে তারা বরাবর তলানিতে থেকে অভ্যস্ত। কিন্তু আইপিএল নাইনে এসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। আট ম্যাচে দশ পয়েন্ট নিয়ে রাহুল দ্রাবিড়-জাহির খানের দিল্লি এখন তিন নম্বরে। সেই দিল্লির তরুণ ব্রিগেডের সদস্য ও টিমের অন্যতম ব্যাটিং ভরসা কুইন্টন ডে কক একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন আনন্দবাজারকে।

Advertisement

প্রশ্ন: জয়ের দৌড়টা ধরে রাখতে দিল্লিকে এখন কী করতে হবে?

কুইন্টন: গেমপ্ল্যান বা টিমে বদল যা-ই হোক না কেন, সব কিছু খুব সহজ রাখতে হবে। নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে হবে। আর মাটিতে পা রেখে চলতে হবে। এ রকম লম্বা টুর্নামেন্টে যে কোনও দিন অঘটন ঘটতে পারে।

Advertisement

প্র: বেঙ্গালুরুতে বিরাট কোহালির আরসিবির বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিটা নিয়ে কী বলবেন?

কুইন্টন: ওই ছোট মাঠে ১৯০ রান তাড়া করা যায়, এই বিশ্বাস নিয়ে নেমেছিলাম। দু’তিনটে উইকেট চলে গেলেও তাই কেউ ঘাবড়ে যাইনি। আমি বড় ছয় মারতে পারি না, তবে সে দিন মনের সুখে বাউন্ডারি মেরে গিয়েছি।

প্র: দিল্লির লক্ষ্য এখন কী?

কুইন্টন: এই মুহূর্তে অবশ্যই প্লে-অফে ওঠা। তার পর ফাইনাল, আর তার পর হয়তো ট্রফি জেতা। এ রকম টুর্নামেন্টের বিভিন্ন পর্যায় থাকে, তাই এখানে প্রত্যেকটা দিন আলাদা ভাবে দেখতে হয়।

প্র: আপনার টিমের ভারতীয় তরুণরা সবাই রাহুল দ্রাবিড়ের প্রশংসা করছেন। বিদেশি তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে মেন্টর দ্রাবিড়কে আপনার কেমন লাগছে?

কুইন্টন: ক্রিকেটে এমন কোচ খুব একটা পাওয়া যায় না যাঁরা নিজেরা ক্রিকেট খেলেছেন। বিশেষ করে ব্যাটিং কোচ। দ্রাবিড় ক্রিকেটটা খেলেছেন এবং জানেন, কী বলছেন। উনি জানেন ক্রিকেটটা কী ভাবে কাজ করে। তাই যে কোচ খুব একটা সময় মাঠে কাটাননি, তার চেয়ে দ্রাবিড়ের থেকে পরামর্শ নেওয়া অনেক সহজ। উনি আমাদের খুব স্বচ্ছন্দ বোধ করাতে পারেন। নিজেদের প্রকাশ করার স্বাধীনতা দেন।

প্র: আইপিএল অভিজ্ঞতার মধ্যে কোনটা আপনার মনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে?

কুইন্টন: অনেক কিছু শিখছি। প্রতি দিনই কিছু না কিছু জানতে পারছি। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলা, বিভিন্ন পরিবেশ আর সংস্কৃতির সম্পর্কে জানতে পারা, এগুলো দারুণ ব্যাপার। তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমার সবচেয়ে বেশি মনে থাকবে, এখানে ক্রিকেটারদের সঙ্গে লোকে প্রচুর ছবি তোলে। বিশেষ করে সেলফি। দক্ষিণ আফ্রিকায় তো কেউ আমাদের পাত্তাই দেয় না! আর এ দেশে যেখানেই যাই না কেন, কেউ না কেউ ক্যামেরা বা মোবাইল ফোন নিয়ে তৈরি। ভাবাই যায় না!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন