কীভাবে মিলল রফাসুত্র? —নিজস্ব চিত্র
কাটল জট। মিটল সমস্যা। আগামী ৮ মরসুমের জন্য মহমেডান স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে থেকে গেল বিনিয়োগকারী বাঙ্কারহিল। ক্লাবের লোগো ব্যবহার, দুই পক্ষের শেয়ার বন্টন, নতুন বোর্ডে সমান অধিকার থেকে শুরু করে ফুটবল সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে দুই পক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসার পর সাদা-কালো বাহিনীর সঙ্গে থেকে গেল বিনিয়োগকারী। মঙ্গলবার ক্লাব তাঁবুতে স্বাক্ষরিত হল চুক্তি।
চলতি বছরের শুরু থেকেই চলছিল দুই পক্ষের সমস্যা। ফলে বিরক্ত হয়ে ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছিল লগ্নিকারী। তবে এ বার সব সমস্যার সমাধান ঘটল। ফলে মহমেডানের সঙ্গে থেকে গেল এই বিনিয়োগকারী সংস্থা। নতুন চুক্তিতে দুই পক্ষের শেয়ার ৫০ শতাংশ করে থাকবে। ৮ সদস্য নিয়ে গড়া হবে নতুন বোর্ড। যেখানে ক্লাবের তরফ থেকে থাকবেন ৪ জন প্রতিনিধি। তবে বাঙ্কারহিল শুধুমাত্র সিনিয়র ফুটবল দলের জন্যই অর্থ লগ্নি করবে। সেটাও চুক্তিতে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু কীভাবে মিলল রফাসুত্র? ক্লাব প্রধান আমিরুদ্দিন ববি বলছেন, “আমাদের ক্লাবে লোগো অন্যত্র ব্যবহার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া একটা সময় পানীয়ের বিজ্ঞাপনেও আমাদের ক্লাবের জার্সি ব্যবহার করার কথা চিন্তা করা হয়। কর্তারা এর তীব্র বিরোধিতা করেন। ফলে বিনিয়োগকারীরাও নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে। তাই ওদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হল।”
সমস্যা মিটে যাওয়ায় এখন স্বস্তিতে বাঙ্কারহিল-এর অন্যতম কর্তা দীপক কুমার সিংহ। তিনি বলছেন, ‘‘দুই পক্ষের তরফে বেশ কিছু ব্যাপার নিয়ে সমঝোতা হয়েছে। তাই নতুন ভাবে পথচলা শুরু হল। দলের পারফরম্যান্স দেখে ভবিষ্যতের নীতি নির্ধারণের বিষয়ে নতুন বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আপাতত আমরা শুধু সিনিয়র ফুটবল দলের জন্য বিনিয়োগ করব। ভবিষ্যতে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে অন্য বিভাগেও বিনিয়োগ করতে পারি।”