মাত্র মাসখানেকের টুর্নামেন্ট। তার মধ্যেই কেউ হয়ে যান হিরো। কেউ বা একেবারেই হারিয়ে যান স্পটলাইট থেকে। আইপিএলের মরসুমে সাড়া জাগিয়ে শুরু করলেও হারিয়ে গিয়েছেন বহু ক্রিকেটার। দেখুন তো মনে পড়ে কি না এই ক্রিকেটারদের।
স্বপ্নিল আসনোদকরের নাম এখন অনেকেই ভুলে যেতে পারেন। তবে ২০০৮-এ প্রথম আইপিএলে যেন স্বপ্নের অভিষেক হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসের এই ওপেনারের। অভিষেক ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৩৪ বলে ৬০ রান এসেছিল স্বপ্নিলের ব্যাট থেকে। মাত্র দু’বছর আইপিএল খেলেছিলেন। সাতটি ম্যাচে১২৭.০৮ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন ২৪৪ রান। তবে এর পর আর তেমন ছাপ ফেলতে পারেননি স্বপ্নিল। ছবি: সংগৃহীত।
শেন ওর্য়ানের নেতৃত্বে রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে নিজের প্রথম আইপিএলেই সাড়া জাগিয়েছিলেন কামরান খান। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে অদ্ভুত অ্যাকশনে বল করতেন। দু’বছর রাজস্থানের হয়ে খেলার পর ২০১১-তে পুণে ওয়ারিয়র্সয়ের হয়েও মাঠে নেমেছিলেন। তবে পুণের হয়ে খেলার সময় সেই বোলিং অ্যাকশন ঝামেলায় ফেলেছিল এই বাঁ-হাতি পেসারকে। আইপিএল থেকে দূরে ২৭ বছরের কামরান এখন হায়দরাদের লোকাল ক্লাবে খেলেন। ছবি: এএফপি।
২০১১-তে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে ১৭টি উইকেট নিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন পারবিন্দর আওয়ানা। পরের বছর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টে ভারতীয় দলে ডাক পেলেও প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি তাঁর। জাতীয় দলের জার্সিতে ওই সফরেই একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেছিলেন। তবে আইপিএলের দুর্দান্ত ফর্মে আর দেখা যায়নি এই ফাস্ট-মিডিয়াম বোলারকে। ছবি: এএফপি।
২০১২-তে ব্রেন্ডন ম্যাকালামের পরিবর্তে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে নেমেছিলেন মনবিন্দর বিসলা। তাঁর ব্যাট থেকে বেরিয়েছিল ৮৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস। পরের বছরও আইপিএলে যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছিলেন এই উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান। তবে রবিন উত্থাপার কাছে কেকেআরে নিজের জায়গা হারানোর পর আর দলে ফিরতে পারেননি বিসলা। ছবি: এএফপি।