হতাশ করল কেকেআর। ঘরের মাঠেই মুখ থুবড়ে পড়ল নাইটদের যাবতীয় বিক্রম। ব্যাট হাতে ফের রুদ্রমূর্তিতে ক্রিস গেল। সঙ্গে লোকেশ রাহুলের অসাধারণ ইনিংস। নাইটদের হারের পিছনে উঠে আসছে একাধিক কারণ। এক ঝলকে দেখা যাক ইডেনে নাইট-পতনের এমনই কয়েকটা কারণ।
ইডেনে শুরুটা ভালই করেছিল নাইটরা। এক সময় মনে হচ্ছিল, ২১৫-২২০ হবে। কিন্তু কার্তিকরা দু’শো টপকাতে পারেননি। শেষ পাঁচ ওভারে রাসেলের ঝড় আটকে গেল। রাসেল সাধারণত সোজা সোজা শট খেলতে ভালবাসেন। যে কারণে লংঅফ একটু সোজা করে রেখেছিলেন পঞ্জাব অধিনায়ক। সেখানেই ক্যাচ তুলে আউট হলেন রাসেল। যদিও ক্রিস লিন-রবিন উথাপ্পার জুটি বড় রানের একটা মঞ্চ গড়ে দিয়েছিলেন। ছবি : সুদীপ্ত ভৌমিক
ক্রিস লিন বা দীনেশ কার্তিকের ব্যাট থেকে রান এসেছে। কিন্তু, ব্যর্থ হয়েছেন কেকেআর-এর অন্যতম বড় ভরসা নীতীশ রাণা। অবিবেচকের মতো রান আউট হয়ে যান তিনি। গুরুত্বপূর্ণ সময় রবিন উথাপ্পা বা কার্তিকের আউট দলের বড় রানের স্বপ্নকে থমকে দেয়। ছবি : সুদীপ্ত ভৌমিক
কেকেআর-এর সেরা বোলার সুনীল নারাইনকে পাওয়ার প্লে-র মধ্যে আনা হলেও তত ক্ষণে ম্যাচ ধরে নিয়েছে পঞ্জাব। বৃষ্টিতে যখন খেলা বন্ধ হয়, তখন পঞ্জাবের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৯৬। ওখানেই ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। পরে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ১২৫ রানের লক্ষ্য ১১ বল বাকি থাকতে তুলে নেয় পঞ্জাব। ছবি : পিটিআই
গত কয়েকটি ম্যাচে স্পিনাররা নাইটদের বোলিং শুরু করলেও ইডেনে কিন্তু শিবম মাভি ও আন্দ্রে রাসেলের হাতে বল তুলে দেওয়া হয়েছিল। গেলকে শুরুতেই থামাতে স্পিনারদের কেন বল দেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তাঁদের মতে, সুনীল নারাইনকে শুরুতে আনলে অনেক লাভ হত। আর এখানেই উঠছে দীনেশ কার্তিকের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন। ছবি : সুদীপ্ত ভৌমিক
পঞ্জাবের দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যানের দাপট। যে ফর্মে কে এল রাহুল এবং ক্রিস গেল ব্যাট করে গেলেন, তাতে বিপক্ষের সব প্রতিরোধ খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে। একটি বারের জন্যও এই ওপেনিং জুটিকে বেগ দিতে পারেননি নাইটের বোলাররা। ছবি : সুদীপ্ত ভৌমিক
সব শেষে বলতেই হবে ডাকওয়ার্থ-লুইস(ডিএল) পদ্ধতির কথা। বৃষ্টির জন্য এক ঘণ্টা ৩৫ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পরে যেন অনেক কিছু পাল্টে যেতে দেখা গেল। ইনিংস শুরুর সময় গেলদের দরকার ছিল গড়ে ৯.৬ রান। আর ডিএল পদ্ধতির ফলে দেখা গেল পঞ্জাবের দরকার পড়ল ২৮ বলে ২৯ রান। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় গড় নেমে আসে প্রায় ছয়ে। ছবি : সুদীপ্ত ভৌমিক