ব্যাটিং উপভোগ করছিলেন হার্দিক

রবিবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে জিততে গেলে প্রয়োজন ছিল ২৩৩ রান। ওই অবস্থায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১২১ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারানোর পরে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন হার্দিক।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:২২
Share:

প্রত্যয়ী: রবিবার ইডেনে হার্দিক। টুইটার

অনেকে বলছেন, ইডেনে তাঁর ৩৪ বলে করা ৯১ রানের ইনিংস ছাপিয়ে গিয়েছে আন্দ্রে রাসেলের তাণ্ডবকেও। তিনি— হার্দিক পাণ্ড্য মনে করছেন, ভাগ্য ভাল ছিল বলেই ও রকম মারমুখী ইনিংস খেলতে পেরেছেন।

Advertisement

রবিবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে জিততে গেলে প্রয়োজন ছিল ২৩৩ রান। ওই অবস্থায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১২১ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারানোর পরে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন হার্দিক। যে ইনিংস নিয়ে মুম্বইয়ের অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতি এমনই ছিল যে, প্রথম বল থেকেই আমাকে মারতে হত। আমার ভাগ্যটা ভাল ছিল যে, সব কিছু ঠিকঠাক হয়েছে। শুধু যে বলটায় আউট হয়েছি, সেটা বাদ দিয়ে।’’

হার্দিকের ইনিংসে ছিল ছ’টা চার, ন’টি ছয়। ব্যাট করার সময় আপনার কী মনে হচ্ছিল? হার্দিক বলেছেন, ‘‘এ রকম বিশাল একটা লক্ষ্য সামনে রেখে ব্যাট করতে নামলে কিছু ভাবার সময় থাকে না। মাঠে নেমে শুরু থেকেই শট খেলতে হয়। আমি জানতাম, উল্টো দিকে কায়রন পোলার্ড আছে। আমার হাতে কোনও সময় ছিল না। আমি শুধু খেলাটাকে উপভোগ করতে চেয়েছিলাম।’’

Advertisement

নিজের ব্যাটিং নিয়ে হার্দিক আরও বলেছেন, ‘‘আমি বল আসার আগে নড়াচড়া করছিলাম না। স্থির হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল, বড় শট খেলতে পারব। এই অবস্থায় আত্মবিশ্বাস একটা বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। আমি জানতাম, অন্য কিছু করতে হবে। কিন্তু এক জনের পক্ষে এত বড় রান তাড়া করা সম্ভব ছিল না।’’

মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও মনে করছে, কাউকে সঙ্গী হিসেবে পেলে হয়তো হার্দিক ম্যাচ জিতিয়েই ফিরতে পারতেন। ম্যাচের শেষে কুইন্টন ডি’কক এসে বলেন, ‘‘হার্দিক আর পোলার্ড যখন ব্যাট করছিল, তখন আর কয়েকটা উইকেট কম পড়লে ভাল হত। কিন্তু সেটা হয়নি। আমাদের ব্যাটিংয়ে ছোটখাটো একটা ধস নেমেছিল। হার্দিকের সঙ্গে আর কেউ না থাকায় আমাদের কাজটা কঠিন হয়ে যায়।’’ ইনিংসের শুরুতেই ডি’ককের আউট হওয়াটাও ধাক্কা দিয়ে যায় মুম্বইকে। সুনীল নারাইনকে মিডউইকেটের উপর দিয়ে স্লগ-সুইপ মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকার এই উইকেটকিপার। যা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘অত বড় রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বল থেকেই শট খেলতে হত। আমি সেই চেষ্টাই করেছিলাম। যদি চার কী ছয় পেতাম, তা হলে সবাই বলত, দারুণ শট। আমার দুর্ভাগ্য, আউট হয়ে গেলাম।’’

ডি’কক আরও বলেছেন, রাসেলের ব্যাটিং তাঁর কাছে দুঃসহ হয়ে উঠেছিল। ‘‘আমি মজা করছি না। রাসেল প্রথমে একটু সময় নিয়েছিল। তার পরে মারতে শুরু করে। ওর ইনিংসের প্রতিটা মুহূর্ত ঘৃণা করছিলাম। আশা করব, পরের ম্যাচে যেন এ রকম ইনিংস খেলতে না পারে রাসেল।’’ মুম্বইয়ের সঙ্গে কেকেআর আবার মুখোমুখি হবে ৫ মে, ওয়াংখেড়েতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement