বাড়ির গ্যারাজ বড় করতে হবে, বলে দিলেন রাসেল

কেকেআরের চোখের মণি যেমন রাসেল। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের তারকা ক্রিস গেল। রাসেলই এ দিন গেলের উইকেটটি নেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯ ০৪:১৫
Share:

আন্দ্রে রাসেল। ছবি এএফপি।

আইপিএল মরসুম যেন স্বপ্নের শুরু হল আন্দ্রে রাসেলের। টানা দু’বার ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে মাঠ ছা়ড়লেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা। পুরস্কার হিসেবে দ্বিতীয় গাড়িটি পেয়ে গেলেন রাসেল। যা নিতে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অলরাউন্ডার বলে দিলেন, ‘‘এ বার মনে হয়, বাড়ির গ্যারাজটা বড় করতে হবে। দিনের শেষে যদিও স্বস্তিতে হোটেলে ফিরতে পারছি। খুব ভাল খেলেছে ছেলেরা।’’

Advertisement

কেকেআরের চোখের মণি যেমন রাসেল। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের তারকা ক্রিস গেল। রাসেলই এ দিন গেলের উইকেটটি নেন। ‘দ্রে রাস’ জানিয়ে দেন, গেলের উইকেট নিলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান অবশ্যই কিংবদন্তি। রাসেল বললেন, ‘‘গেল আমার দাদার মতো। কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানকে প্রথম ছয় ওভারে আউট করার তৃপ্তি অসাধারণ। আমাদের পরিকল্পনাই ছিল যত কম রানের মধ্যে ওকে আটকানো যায়। কিন্তু ব্যাটিংয়ে আমি ওর থেকে বেশি ছয় মেরেছি। তবুও আমার থেকে বেশি বড় শট নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ওরই।’’

এ দিন রাসেল ব্যাট করতে নামতেই দাঁড়িয়ে হাততালি দিতে শুরু করেন কেকেআর মালিক শাহরুখ খান। ১৭তম ওভারে মহম্মদ শামির বলে বোল্ড হন রাসেল। শাহরুখ তখন দুই হাত বুকের কাছে জড়ো করে টেনশনে চুপ করে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। আম্পায়ার ‘নো বল’ দিয়েছেন দেখার পরে শিশুর মতো লাফিয়ে ওঠেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাণা, রাসেল, না ‘নো বল’, নাইটদের পঞ্জাব বধের আসল নায়ক কে?

পরে রাসেল ঝড় উঠতে শাহরুখ চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘কাম অন রাসেল’। কিন্তু গোল বৃত্তের মধ্যে তিনটি ফিল্ডার থাকায় তা ‘নো’-বল হয়। রাসেল যদিও সেই ফিল্ডারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘জানি না, ফিল্ডারের নাম। কিন্তু অবশ্যই ওকে ধন্যবাদ জানাতে চাইব। বোল্ড হওয়ার সময় ভাবলাম এই ম্যাচে আর কিছু দেখাতে পারলাম না। কিন্তু তখনই দেখি আম্পায়ার আমাকে দাঁড়াতে বলছেন। তখনই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে বলি, এই ম্যাচে অন্তত বাঁচিয়ে দাও।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘এ ম্যাচেও বড় শট নিতে অসুবিধা হয়নি। আমার আয়ত্তে যে বলগুলো পেয়েছি, প্রত্যেকটা উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হেড কোচ মাইক হেসনও বলে দিলেন, ‘‘১৭ নম্বর ওভারেই ম্যাচটি হাত থেকে বেরিয়ে গেল। তবে ক্রিকেটে এ সব হয়। এটা একটা বড় ভুল।’’

কেকেআরের নীতীশ রানাও বলে গেলেন, ‘‘রাসেলের আউট নো-বলে হওয়াতেই আমরা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি। এটাকে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলাই যেতে পারে।’’ রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লির হয়ে এ বার বড় রান পাননি। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি ট্রফিতেও ফর্মে ছিলেন না। তার পরে মুম্বইয়ে নাইট রাইডার্স শিবিরে অভিষেক নায়ারের কোচিংয়ে নিজেকে তৈরি করেন নীতীশ। তিনি বলেন, ‘‘অভিষেক নায়ারের সঙ্গে কাজ করে অনেক লাভ হয়েছে। প্রত্যেক বারই আমি প্রথম দিকের ম্যাচগুলোয় রান পাই। এ বার চেষ্টা করব শেষ পর্যন্ত ছন্দ ধরে রাখতে।’’ এ দিন পেলেন অরেঞ্জ ক্যাপ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন