কেকেআর শিবিরে নতুন চমক দিলেন কে সি কারিয়াপ্পা। —ফাইল চিত্র।
বিরাট কোহালিদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগেই কেকেআর শিবিরে নতুন চমক দিলেন কে সি কারিয়াপ্পা। মঙ্গলবার অনুশীলনে দেখা গেল এক অভিনব দৃশ্য। স্পিনার কারিয়াপ্পা নেটে একের পর এক ইয়র্কার দিচ্ছেন। বেঙ্গালুরুর ছেলে কে সি। নিজের শহরে একটি স্যালন গড়ে তুলেছেন। নাম ‘দ্য স্পিন স্যালন’। শোনা যাচ্ছে কেকেআর শিবিরের বেশ কয়েক জন তাঁর স্যালন দেখতে যাবেন বুধবার।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে খেলার পরে দু’দিন বিশ্রামে ছিল কেকেআর শিবির। মঙ্গলবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনুশীলনে নেমে পড়লেন দীনেশ কার্তিক, সুনীল নারাইনেরা। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের চোট যে একেবারে সেরে গিয়েছে তা অনুশীলনে তাঁর বল করা দেখেই ধরে নেওয়া যায়। এই চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামেই আইপিএলে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করার নজির গড়েছিলেন নারাইন। ১৫ বলে পৌঁছে গিয়েছিলেন অর্ধশতরানে। সেখানে ফের ব্যাট হাতে নামার জন্য তাঁর ছটফট করারই কথা।
এ দিকে, আট বছর আগে এ দিনই দ্বিতীয় বার ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন এক বর্তমান নাইট। ফাইনালের প্রথম একাদশে সুযোগ না পেলেও সে দলে ছিলেন। তাই বিশ্বকাপ জেতার অনুভূতি কী হতে পারে সে অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তিনি পীযূষ চাওলা।
২০১১ সালের ২ এপ্রিলের সে রাতের স্মৃতি এখনও তরতাজা নাইট লেগস্পিনারের। পীযূষ বলেন, ‘‘এমন কিছু স্মৃতি রয়েছে, যা কখনও ভোলা যায় না। বিশ্বকাপ জেতার মুহূর্তের প্রত্যেকটি কথা আমার মনে আছে। এখনও সে সব মনে করলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।’’ তাঁর পাশেই বসে ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটসম্যান শুভমন গিল। ২০১১ সালে তাঁর বয়স ছিল ১১ বছর। অনূর্ধব-১৯ বিশ্বকাপ জিতলেও জাতীয় দলে নিজের জায়গা পাকা করতে পারেননি। তবুও ভবিষ্যতের সুপারস্টার হিসেবে দেখা হয় তাঁকে। শুভমন যদিও নিজেকে সুপারস্টার হিসেবে দেখেন না। তাঁর কথায়, ‘‘ভাল ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ব্যবহার করতে পারছি, অনেক কিছু শিখতে পারছি।’’
বাকরুদ্ধ শ্রেয়স: কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে হারে স্তম্ভিত অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। তিনি বলেছেন, ‘‘কী ভাবে হারলাম, তা প্রকাশ করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা খুব ভয় পেয়েছিলাম। এ ধরনের সহজ ম্যাচ হারলে ভবিষ্যতে ভুগতে হবে।’’