টসের আগে দুই অধিনায়ক। ছবি: দিল্লি ক্যাপিটালসের ফেসবুক পেজ থেকে।
সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রায় হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল ম্যাচটা। প্রথমে খলিল আহমেদ ও পরে রশিদ খান দিল্লি ক্যাপিটালসের শ্বাসরোধ প্রায় করে ফেলেছিলেন। এরকম অবস্থা থেকে দিল্লিকে ম্যাচে ফেরান ঋষভ পন্থ। ১৭ ওভারের শেষে দিল্লির জয়ের সমীকরণ রীতিমতো কঠিন ছিল। ১৮ বলে ৩৪ রান দরকার ছিল। পন্থ ছিলেন বলেই আশায় ছিল দিল্লি। থাম্পির ওভার থেকে আসে ২২ রান। তার মধ্যে পন্থ একাই নেন ২১ রান।
পন্থ ২১ বলে ৪৯ রান করে যখন ফিরলেন ডাগ আউটে, তখন ৭ বলে ৫ রান দরকার দিল্লির। ম্যাচ শেষ না করে ফেরায় নিজের উপরেই বিরক্ত হন পন্থ। ম্যাচ শেষ করে আসা শিখতে হবে তাঁকে। শেষমেশ অবশ্য রক্তের গতি বাড়িয়েই জিতল দিল্লি। সানরাইজার্স ছিটকে গেল টুর্নামেন্ট থেকে। দিল্লির সামনে এ বার ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। সিএসকে-কে হারালেই ফাইনালে পৌঁছবে দিল্লি ক্যাপিটালস।
জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড ওয়ার্নারের অভাব টের পেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এই দুই ওপেনার থাকলে যে গতিতে রান তুলতেন সেই গতিরই অভাব দেখা গেল সানরাইজার্স ইনিংসে।
আরও পড়ুন: সৌরভের মানসিক দৃঢ়তাই কি দিল্লির দুর্দান্ত জয়ের অন্যতম কারণ?
এ দিন, টস জিতে হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠায় দিল্লি ক্যাপিটালস। ঋদ্ধিমান সাহা ও মার্টিন গাপ্তিল ওপেন করতে নামেন। বাংলার ছেলে মাত্র ৮ রান করে ফেরেন। অন্য দিকে গাপ্তিল বড় রানের আশা জাগিয়েছিলেন সানরাইজার্স ভক্তদের মনে। ১৯ বলে ৩৬ রান করেন গাপ্তিল। চারটে বিশাল ছক্কা হাঁকান তিনি। কিন্তু, অমিত মিশ্র মোক্ষম সময়ে আউট করেন গাপ্তিলকে।
রান তোলার গতি তখনই কমে যায়। মণীষ পাণ্ডে (৩০), কেন উইলিয়ামসন (২৮) রানের গতি বাড়াতে পারেননি। চলতি আইপিএলে বিজয় শঙ্কর নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। এ দিন তিনি দ্রুত ১১ বলে ২৫ করেন। পরের দিকে মহম্মদ নবি ১৩ বলে ২০ রান করায় সানরাইজার্স করে ৮ উইকেটে ১৬২। শেষ ওভারে দু’টি উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। সানরাইজার্সের রান তাড়া করতে নেমে পৃথ্বী শ অনবদ্য খেলেন। ৩৮ বলে ৫৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি। পৃথ্বী শ-র জন্যই মনে হচ্ছিল খুব সহজেই ম্যাচটা বের করে নেবে দিল্লি। কিন্তু পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যায় খলিল আহমেদ ও রশিদ খান দিল্লির ইনিংসে আঘাত হানায়। পন্থ এসে পাল্টা মার দেওয়া শুরু করেন। তখনই দিল্লির উপর থেকে কমে যায় চাপ। শেষ ওভারে পরিস্থিতি কঠিন করে ফেলেছিল দিল্লি। ভাগ্যদেবী দিল্লি ক্যাপিটালসের সহায় হওয়ায় ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর—
সানরাইজার্স (২০ ওভার) ১৬২/৮
দিল্লি ক্যাপিটালস (১৯.৫ ওভার) ১৬৫/৮