নারাইনের ব্যাটে ঝড়। ছবি: এএফপি।
আন্দ্রে রাসেল চলতে শুরু করলে কেকেআরকে থামায় কার সাধ্যি! এতদিন এটাই ছিল দেওয়াললিখন। রবিবার অবশ্য রাসেলকে ব্যাট ঘোরাতে হল না। তিনি না নামলেও ম্যাচ জিততে বেগ পেতে হল না কেকেআরকে। ৩৭ বল বাকি থাকতে আট উইকেটে রাজস্থানকে মাটি ধরাল নাইটরা।
রাজস্থানের রান তাড়া করতে নেমে সুনীল নারাইন ও ক্রিস লিন শুরুতে ঝড় তোলেন। দুই ওপেনার কেকেআরের কাজটা সহজ করে দেন। নারাইন যখন ফেরেন তখন নাইটদের রান ৮.৩ ওভারে ৯১। নারাইন খেলেন ২৫ বলে ৪৭ রানের ইনিংস। লিন আউট হন ব্যক্তিগত ৫০ রান করে। ১০.৫ ওভারে কলকাতার রান তখন দু’ উইকেটে ১১৪। তার পরে বাকি কাজটা সারেন রবিন উথাপ্পা (২৬ অপরাজিত) ও শুবমান গিল (৬ অপরাজিত)।
এদিন টসে জিতে রাজস্থান রয়্যালসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান নাইট অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। স্টিভ স্মিথ (৭৩) ছাড়া আর কেউ জ্বলে উঠতে পারেননি। রাজস্থানের পক্ষেও রানের পাহাড় গড়া সম্ভব হয়নি। ম্যাচের বল গড়ানোর আগে রাজস্থানের স্পিনার কৃষ্ণাপ্পা গৌতম হুংকার ছেড়েছিলেন।তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, রাসেলকে থামানোর অস্ত্র রয়েছে রাজস্থানের হাতে।
আরও পড়ুন — চেনা জার্সি ছেড়ে সবুজ জার্সিতে কেন কোহালিরা? জেনে নিন আসল কারণ
আরও পড়ুন—অফস্পিনারদের দ্বৈরথে শেষ হাসি ভাজ্জিদের
টসের পরে রাজস্থান অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানেও বলেছিলেন, রাসেলের বিরুদ্ধে তাঁর বোলাররা আগ্রাসী বোলিং করবেন। অতিরিক্ত রাসেল, রাসেল করতে গিয়ে বাকিদের সামলানোর পরিকল্পনা হয়তো করা হয়নি রাজস্থানের। তাছাড়া ১৩৯ রান করে এই কেকেআর-কে থামিয়ে রাখা সম্ভব নয়। নাইট ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন তাঁদের বোলাররা। ভাগ্য অবশ্য খারাপ রয়্যালসের। নারাইনের ক্যাচ পড়ল। ধবল কুলকার্নির বল লিনের উইকেটে নাড়িয়ে দিলেও বেল পড়ল না। সব মিলিয়ে রাতটা ছিল কেকেআরের।
রাজস্থান ১৩৯/৩
কেকেআর ১৪০/২