উত্তেজনার ম্যাচে জয় বিরাটদের

এবিডির ব্যাটে এখনও বেঁচে স্বপ্ন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের

বিরাট কোহালি বনাম আর অশ্বিনের এই ম্যাচে উত্তেজনা কম ছিল না। কোহালিকে শুরুতে আউট করে পঞ্জাব অধিনায়ককে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায়। এর পরে পঞ্জাব ব্যাটসম্যানেরা যখন আউট হতে থাকেন, তখন উত্তেজিত কোহালি পাল্টা জবাব দেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:০১
Share:

জুটি: এ বার পরাস্ত পঞ্জাব। চিন্নাস্বামীতে উচ্ছ্বাস এবি-বিরাটের। এএফপি

এ বি ডিভিলিয়ার্সের হাত ধরে আইপিএলে এখনও টিকে থাকল বিরাট কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। প্রথমে ৪৪ বলে ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন ডিভিলিয়ার্স। মারলেন তিনটি চার, সাতটি ছয়। তার পরে দুটো অসাধারণ ক্যাচে ফিরিয়ে দিলেন ডেভিড মিলার এবং নিকোলাস পুরানকে। যাঁরা একটা সময় কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে জয়ের স্বপ্ন দেখানো শুরু করেছিলেন। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চার উইকেটে ২০২ রানের জবাবে ২০ ওভারে পঞ্জাব থামল সাত উইকেটে ১৮৫ রানে।

Advertisement

বিরাট কোহালি বনাম আর অশ্বিনের এই ম্যাচে উত্তেজনা কম ছিল না। কোহালিকে শুরুতে আউট করে পঞ্জাব অধিনায়ককে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায়। এর পরে পঞ্জাব ব্যাটসম্যানেরা যখন আউট হতে থাকেন, তখন উত্তেজিত কোহালি পাল্টা জবাব দেন। শেষ ওভারে বাউন্ডারি লাইনে অশ্বিনের ক্যাচ ধরে তাচ্ছিল্যের ভঙ্গি করতেও দেখা যায় আরসিবি অধিনায়ককে। অশ্বিন আবার আউট হয়ে ডাগআউটে ফিরে রাগে গ্লাভস ছুড়ে ফেলেন।

প্রথম ছ’টা ম্যাচ হেরে প্রায় বিদায়ের মুখে থাকা আরসিবি টানা তিনটে ম্যাচ জিতে লিগ তালিকায় সাত নম্বরে উঠে এল। ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট পেয়ে এখনও কোহালিরা অলৌকিক কিছু ঘটানোর স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলেন। ম্যাচের পরে কোহালি বলেন, ‘‘আমরা জানি, কী ভাবে খেলতে হয়। গোটা দুনিয়া জানে আমরা কী রকম খেলা খেলতে পারি। আমাদের এখন লক্ষ্য হল, দল হিসেবে ভাল খেলা।’’

Advertisement

চিন্নাস্বামীতে দুই দলের লড়াইয়ে তফাত হয়ে গেল শেষ তিন ওভারের খেলায়। ডিভিলিয়ার্স আর মার্কাস স্টোয়নিস মিলে আরসিবি ইনিংসের শেষ তিন ওভারে তুলেছিলেন ৬৪ রান। উল্টো দিকে ম্যাচ জেতার জন্য পঞ্জাবের শেষ তিন ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৬। কিন্তু উমেশ যাদব এবং নবদীপ সাইনি দুরন্ত বল করে আটকে দেন পঞ্জাবকে। ১৯তম ওভারে মাত্র তিন রান দিয়ে নবদীপ ফিরিয়ে দেন মিলার এবং পুরানকে। শেষ ওভারে উমেশ আউট করেন অশ্বিন এবং হার্ডাস ভিজোয়েনকে। বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে সুযোগ পাওয়ার দিনই পুরান ২৮ বলে ৪৬ করে গেলেন। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামীর পিচ বরাবরই ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করে। মাঠও খুব একটা বড় না হওয়ায় স্ট্রোকপ্লেয়াররা এখানে বড় রান করে থাকেন। এ দিন যেমন এ বি করলেন, পুরান করলেন। এ বির মারা সাতটি ছয়ের মধ্যে একটি তো প্রায় অবিশ্বাস্য। মহম্মদ শামির ফুলটস প্রায় বুকের কাছ থেকে এক হাতে গ্যালারিতে পাঠিয়ে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন এই ব্যাটসম্যান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন