২ উইকেটে জয়ী দিল্লি ক্যাপিটালস

ঋষভ-খলিলের হাতে লজ্জিত হওয়ার দিন নির্বাচকদের  

কোন যুক্তিতে ঋষভ পন্থকে বিশ্বকাপ দলের বাইরে রাখা হল, তা এখনও আমার মাথায় ঢুকছে না। এই ছেলেটা নিখাদ গেমচেঞ্জার। একটা ওভারে খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে।

Advertisement

অশোক মলহোত্র

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৯ ০৪:১৪
Share:

উচ্ছ্বাস: শ্রেয়সের উইকেট নিয়ে ফোন করার ভঙ্গিতে উৎসব খলিলের। দিল্লির জয়ের কারিগর ঋষভের মুখে তৃপ্তির হাসি। বুধবার। আইপিএল

এসআরএইচ : ১৬২-৮ (২০)
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৬৫-৮ (১৯.৫)

Advertisement

জাতীয় নির্বাচকেরা কি এই সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের এই ম্যাচটা দেখলেন? দেখলে নিশ্চয়ই ওরা নিজেদের ভুলটা বুঝতে পারছেন।

কোন যুক্তিতে ঋষভ পন্থকে বিশ্বকাপ দলের বাইরে রাখা হল, তা এখনও আমার মাথায় ঢুকছে না। এই ছেলেটা নিখাদ গেমচেঞ্জার। একটা ওভারে খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে। বুধবার বিশাখাপত্তনমে হায়দরাবাদ বনাম দিল্লির ম্যাচে যেটা আবার দেখা গেল। দিল্লি ইনিংসের ১৫ নম্বর ওভার করতে এসে কোনও রান না দিয়ে দু’উইকেট তুলে নিয়েছিল রশিদ খান।

Advertisement

ম্যাচ তখন যে কোনও দিকে ঘুরতে পারত। একটা সময় শেষ তিন ওভারে দিল্লির দরকার ছিল ৩৪। বাসিল থাম্পির করা ১৮ নম্বর ওভারের প্রথম চারটে বলে দুটো ছয়, দুটো চার মেরে ম্যাচটা ঘুরিয়ে দেয় ওই ঋষভই (২১ বলে ৪৯, দুটো চার, পাঁচটা ছয়)। এ বার ফাইনালে ওঠার পথে দিল্লির লড়াই মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাইয়ের সঙ্গে।

এই ম্যাচটা যেন জাতীয় নির্বাচকদের লজ্জিত হওয়ার ম্যাচ ছিল। শুধু ঋষভই নয়, আরও এক জন ব্রাত্য ক্রিকেটার দারুণ খেলল। হায়দরাবাদের বাঁ হাতি পেসার খলিল আহমেদ। একটা সময় খলিলকে বিশ্বকাপে নিয়ে যাওয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু এক জন পেসারকে কম নিয়ে ইংল্যান্ডে যাচ্ছে ভারত।

আরও পড়ুন: সৌরভের মানসিক দৃঢ়তাই কি দিল্লির দুর্দান্ত জয়ের অন্যতম কারণ?

এ দিন দেখলাম এক ওভারে শ্রেয়স আইয়ার আর পৃথ্বীকে তুলে নিয়ে কাকে যেন ‘ফোন’ করার ভঙ্গি করল খলিল। ‘ফোন’টা যে নির্বাচকদের উদ্দেশেই করল, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। নিজে একটা সময় নির্বাচক ছিলাম। এখন যদি থাকতাম, ঋষভ এবং খলিলকে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য গলা ফাটাতাম।

বিশাখাপত্তনমের এই পিচটায় বল একটু পুরনো হয়ে গেলে রান তোলা কঠিন হচ্ছিল। হায়দরাবাদ ইনিংসে যেটা বোঝা গিয়েছে। সে জন্য ১৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দিল্লি কী রকম শুরু করে, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পৃথ্বী শ এবং শিখর ধওয়ন প্রথম থেকেই ভাল রান রেট রেখে দিল। ধওয়ন বড় রান পায়নি কিন্তু পৃথ্বী অসাধারণ ইনিংস খেলল। ওর ৩৮ বলে ৫৬ জয়ের রাস্তাটা দেখিয়ে দিয়েছিল। যে রাস্তায় হেঁটে দিল্লিকে জেতাল ঋষভ। এই দিল্লিতে আমি অনেক ক্রিকেট খেলেছি। এই দিল্লি দেখেছে মহিন্দর অমরনাথ থেকে বীরেন্দ্র সহবাগের মতো ক্রিকেটারকে। দিল্লিতে খেলার সুবাদে আমি জানি, ওখানকার ছেলেদের মতো সীমিত ওভারের ক্রিকেটটা খুব কম ক্রিকেটারই খেলতে পারে। ধওয়ন, ঋষভকে দেখে সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।

১৯তম ওভারে ঋষভ ফিরে যাওয়ার পরে শেষ ওভারে দরকার ছিল পাঁচ। ওই ওভারে অমিত মিশ্র রান নিতে গিয়ে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউট হল। দৌড়নোর সময় পিচের মধ্যে এসে খলিলের ছোড়া বলটা আটকে দেয় অমিত। তৃতীয় আম্পায়ার আউট দিল। ঠিক সিদ্ধান্ত। সব শেষে ঋষভকে বলব, এর পরে ম্যাচ শেষ করে আসতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন