স্টিভন ফ্লেমিং। ছবি এএফপি।
আম্পায়ারিং-আতঙ্ক এখন চেপে বসেছে স্টিভন ফ্লেমিংয়ের কাঁধেও। গত বৃহস্পতিবার আরসিবি বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে ‘নো বল’ কেলেঙ্কারির পরে শনিবার কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ম্যাচে সাত বলে ওভার শেষ করেন আর অশ্বিন।
আজ, রবিবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে চেন্নাই সুপার কিংস দলের কোচ ফ্লেমিং আবেদন করেছেন, ম্যাচে আম্পায়াররা ঠিক সিদ্ধান্ত নিলে যথার্থ ক্রিকেটীয় উন্মাদনা বজায় থাকবে। তিনি বলেছেন, ‘‘এর আগে একটা ম্যাচে বিতর্কিত নো বল হয়েছে। একজন কোচ এবং প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবে বলতে পারি, মাঠে আম্পায়াররা সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে খেলার ছন্দ ব্যাহত হয় না। যে কোনও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই যদি জায়ান্ট স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়, সেটা মোটেও ভাল দেখায় না।’’
তবে সেখানেই শেষ নয়। অজিঙ্ক রাহানেদের বিরুদ্ধে আজ খেলতে নামার আগে সিএসকে শিবিরে গলার কাঁটা হয়ে রয়েছে চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের বাইশ গজ।
আরও পড়ুন: পৃথ্বী শ নাকি রাবাডা, কার কাছে হারল নাইটরা?
এ বার আইপিএলের প্রথম ম্যাচে বিরাট কোহালিদের আরসিবিকে হারিয়ে অভিযান শুরু করলেও সেই উচ্ছ্বাস ম্লান হয়ে যায় উইকেট-বিতর্কে। রবিবারের উইকেটে কোনও ইতিবাচক পরিবর্তন কি দেখা যেতে পারে? ফ্লেমিং বলেছেন, ‘‘আইপিএলের প্রথম ম্যাচের প্রেক্ষিতে দেখলে এই উইকেট হয়তো ভাল ছিল না। তবে এও জানিয়ে রাখা দরকার যে, আমরা কিন্তু এমন উইকেট তৈরির নির্দেশ দিইনি।’’ আরও বলেছেন, ‘‘আজ পিচ দেখে আপাতদৃষ্টিতে যা বুঝেছি, তাতে উইকেট অনেকটা ভাল। উপরিভাগ বেশ শক্ত। তবে তা নিয়ে আমরা বিশেষ কিছু ভাবতে চাই না। রবিবার এই পিচে প্রথম বল পড়ার পরেই সমস্ত ছবি স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’ বরং এক ধাপ এগিয়ে ধোনিদের কোচ বলেছেন, ‘‘আদর্শ টি-টোয়েন্টি উইকেট কেমন হওয়া উচিত, সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সেই উইকেটকে বিচার করছেন। চেন্নাইয়ের অতীত ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে এটা বলতে পারি, এখানকার পিচ মন্থর হয়ে থাকে। প্রথম ম্যাচে যা হয়েছিল, সেটা নিছকই দু্র্ঘটনা।’’
চোটের কারণে ছিটকে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার লুঙ্গি এনগিডির পরিবর্ত এ দিনই নাম ঘোষণা করা হয়েছে নিউজ়িল্যান্ডের অলরাউন্ডার স্কট কুখেলাইনকে। পাশাপাশি পারিবারিক কারণে শনিবারই এ বারের আইপিএল থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডেভিড উইলি। তা নিয়ে অবশ্য খুব একটা উদ্বিগ্ন নন সিএসকে কোচ। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা দলটাকে এমন ভাবে তৈরি করতে চাই যাতে কোনও বিভাগে কার্যকরী ক্রিকেটারের সংখ্যায় ঘাটতি না পড়ে।’’