IPL

সৌরভের বিসিসিআই-এর বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে ১০০০ কোটি টাকার জনস্বার্থ মামলা

করোনা অগনিত মানুষের প্রাণ কেড়ে নিলেও, বিসিসিআই কর্তারা নিজের সুবিধার জন্য ‘অহংকারী মানসিকতা’ দেখিয়ে আইপিএল চালিয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২১ ১১:১৩
Share:

দেশের সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বিসিসিআইকে । এই মর্মে বোর্ডের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা। ফাইল চিত্র

এ বার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিসিসিআই-এর বিরুদ্ধে ১০০০ কোটি টাকার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী বন্দনা শাহ। বম্বে হাইকোর্টে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোটা দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাস অগনিত মানুষের প্রাণ কেড়ে নিলেও, বিসিসিআই কর্তারা নিজের সুবিধার জন্য চোখ-কান বন্ধ করে ‘অহংকারী মানসিকতা’ দেখিয়ে আইপিএল চালিয়ে গিয়েছে। এই মর্মে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই জনস্বার্থ মামলার নথিপত্রে আরও বলা হয়েছে, বিসিসিআই যেন ১০০০ কোটি টাকা কোভিড আক্রান্ত মানুষদের অক্সিজেন এবং ওষুধের জন্য ব্যয় করে তাদের কাছে ক্ষমা চায়।

Advertisement

আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা পর আইনজীবী বন্দনা শাহ বলেন, “বিসিসিআই কর্তারা ভীষণ অহংকারী। তাই তো দেশে করোনার গ্রাসে একাধিক পরিবার শেষ হয়ে গেলেও বোর্ড কর্তারা সেই দিকে নজর দেয়নি। বরং চোখ-কান বন্ধ করে আইপিএল চালিয়ে গিয়েছেন। এটা মানবিকতার পরিপন্থী। দেশের সাধারণ মানুষের প্রতি বোর্ড কর্তাদের নুন্যতম দায়িত্ব থাকলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত। ১০০০ টাকা কোভিড আক্রান্ত মানুষদের অক্সিজেন এবং ওষুধের জন্য ব্যয় করে তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।”

মঙ্গলবার সকালের দিকে আইপিএল এ বারের মতো স্থগিত করে দেওয়া হলেও, সৌরভের বোর্ড কিন্তু প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার একটা শেষ চেষ্টা করেছিল। মুম্বইতে আইপিএল-এর সব ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে একদিনে ‘ডাবল হেডার’ করিয়ে দ্রুত শেষ করতে চেয়েছিল বিসিসিআই। কর্তাদের ধারণা ছিল যে ওয়াংখেড়ে, সিসিআই (ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়া) এবং ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে বাকি খেলাগুলো আয়োজন করে ফেলা যাবে। যদিও ঋদ্ধিমান সাহা ও অমিত মিশ্র-র খবরটা দাবানলের মতো ছড়িয়ে যেতেই মত বদলে ফেলেন সৌরভ।

Advertisement

সেটা নিয়েও কিন্তু আইনজীবী বন্দনা শাহ আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “দেশের অনান্য রাজ্যের মতো মুম্বই ও মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তবুও এখানকার মানুষের আবেগ না বুঝতে পেরে বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করতে চেয়েছিল। এতেই বোঝা যায় ওরা সবাই চোখ-কান বন্ধ করে রাখা অহংকারী মানুষ। ক্রিকেট আমিও পছন্দ করি। কিন্তু দেশে অগনিত মানুষ মারা গেলে ক্রিকেট খেলা কিংবা দেখার অবস্থা থাকে না। এটা তো বোঝা উচিত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন