এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। কিন্তু কী ভাবে? কী রয়েছে এর নেপথ্যে?
তা খেলতে খেলতেই খোলসা করলেন এবি ডে ভিলিয়ার্স। বেঙ্গালুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের ততক্ষণে ব্যাটিং শেষ। ব্যাট করতে নেমে পড়েছে কিংস একাদশ পঞ্জাব। ফিল্ডিং করছিলেন এবি। ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মঞ্জরেকর তখনই মাঠের মধ্যে তাঁকে ধরেন। জানতে চান কী ভাবে এতদিন পর চোট সারিয়ে ফিরে এই ইনিংস খেললেন তিনি। বেঙ্গালুরুকে হারতে হয়েছে সেই ম্যাচে। কিন্তু একাই যতটা সম্ভব দলকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৪৬ বলে অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস। যার ফলে কোনওক্রমে ১৪৮এ পৌঁছয় বেঙ্গালুরু। যদিও এবি-র ওয়ান ম্যান শো-এর পর জিততে পারেনি তাঁর দল। কিন্তু তিনি ফিরলেন স্বমহিমায়।
আরও খবর: চোট সারিয়ে ফিরেই দুরন্ত ব্যাটিং এবির, কাজে লাগল না
পিঠের ব্যাথায় কাবু ছিলেন। যে কারণে উইকেট কিপিং করবেন না জানিয়ে দিয়েছিলেন আগে থেকেই। আইপিএল-এর প্রথম দুই ম্যাচে খেলতে পারেননি। তৃতীয় ম্যাচে নেমেই বাজিমাত। এর নেপথ্যে রয়েছেন এবি-র স্ত্রী ড্যানিয়েল। প্রশ্নটা করেছিলেন সঞ্জয় মঞ্জরেকর, ‘‘কী ভাবে খারাপ সময় কাটিয়ে উঠে এই সাফল্য?’’ এবি বলেন, ‘‘সব সফল পুরুষের পিছনে একজন মহিলা থাকেন।’’ আর এবির ক্ষেত্রে তিনি অবশ্যই তাঁর স্ত্রী। খেলতে নামার আগে স্ত্রীকে ফোনও করেছিলেন। কিন্তু তখন তিনি ঘুমোচ্ছিলেন। এবি জানান, ঘুম থেকে উঠে সঙ্গে সঙ্গেই এবিকে ফোন করেন তাঁর স্ত্রী। এবি বলেন, ‘‘একদম সঠিক সময়ে ও আমাকে ফোন করেছিল ভাগ্যিস। আমি নিজেই আমার ব্যাটিংয়ে অবাক হয়ে গিয়েছি। এটা অনেকটাই মানসিক। কোনও কিছুই তোমাকে রাতারাতি খারাপ প্লেয়ার করে দিতে পারে না। হতাশা থেকে খেলায় কিছুটা প্রভাব পড়ে। যেটা শেষ কয়েকদিন ছিল আমার।’’
আইপিএলএর টুইটারে সেই ভিডিও পোস্ট করা হল
আইপিএলএর টুইটারে সেই ভিডিও পোস্ট করা হল
খেলতে নামার আগে মনের মধ্যে সংশয় ছিল এবি ডে ভিলিয়ার্সের। যে কারণেই স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। বলেন, ‘‘ম্যাচের আগে আমি আমার স্ত্রীকে ফোন করেছিলাম কারণ নিজের খেলা নিয়ে সংশয় হচ্ছিল। ও তখন ছেলের সঙ্গে ঘুমোচ্ছিল। আমি ওর কাছে জানতে চাই আমার কী করা উচিত। ও আমাকে বলে, ও আমার পিছনে রয়েছে আর আমাকে মাথা ঠান্ডা রাখতে বলে। এর থেকেও বড় প্রাপ্তি ছিল, ও আমাকে জানায় ও কালই আসছে।’’ ডে ভিলিয়ার্সের ৮৯ রানের ইনিংসে ছিল ন’টি ওভার বাউন্ডারি। যা থেকে প্রমাণ নিজের ছন্দে ফিরে এসেছেন এবি।