IPL 2022

Sangakkara: নিলামের টেবিলেই প্রথম একাদশ! রাজস্থানের সাফল্যের কারণ জানালেন সঙ্গকারা

পরিকল্পনা মতো প্রথম একাদশের ক্রিকেটারদের কিনতে কার্পণ্য করেনি রাজস্থান। সঙ্গে পরিকল্পনা, পরিশ্রম এবং প্রয়োগ। এই তিনের সমন্বয়েই এসেছে সাফল্য।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২২ ১২:২৭
Share:

কুমার সঙ্গকারা ছবি: আইপিএল

রাজস্থান রয়্যালসের সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কার দুই প্রাক্তন খেলোয়াড়ের ক্রিকেট মস্তিষ্ক। কুমার সঙ্গকারা এবং লাসিথ মালিঙ্গা। মূলত দলের প্রধান কোচ সঙ্গকারার হাত ধরেই ১৪ বছর পর আবার আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছেছে রাজস্থান। কী ভাবে এত দূর পৌঁছনো সম্ভব হল? সঙ্গকারা জানিয়েছেন, নিলামের টেবিলেই তাঁরা প্রথম একাদশ ঠিক করে ফেলেছিলেন।

Advertisement

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে হারিয়ে খুশি সঙ্গকারা। কেমন ছিল রাজস্থানের পরিকল্পনা? সঙ্গকারা জানিয়েছেন পরিকল্পনা মতো প্রথম একাদশ তৈরি করতে কোনও কার্পণ্য করেননি তাঁরা। বলেছেন, ‘‘নিলামে আমাদের কাছে যে টাকা ছিল তার ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশই খরচ করেছিলাম পরিকল্পনা মতো প্রথম একাদশের ক্রিকেটারদের নিতে। সে দিন টেবিলেই ঠিক করে নিয়েছিলাম মোটামুটি প্রথম একাদশ কী হবে। কাদের দলে নেওয়া হবে তা ঠিক করতে আমরা পরিসংখ্যান, তথ্য নিয়ে প্রচুর কাজ করেছি। অভিজ্ঞতা, তারুণ্যের ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করেছি। দলে এমন কিছু তরুণ রয়েছে, যারা আগামী দিনের তারকা। কিন্তু আমাদের প্রথম একাদশও শক্তিশালী। আমাদের বিশ্লেষক জাইলস লিন্ডসে, জুবিন বারুচা এবং অন্যরা প্রচুর পরিশ্রম করেছে। পরিকল্পনা, পরিশ্রম এবং মাঠে প্রয়োগ— এই তিনের সমন্বয়েই সাফল্য।

রাজস্থান কোচ আলাদা করে প্রশংসা করেছেন জস বাটলারের। সঙ্গকারা বলেছেন, ‘‘বাটলার নিজের শক্তির পূর্ণ ব্যবহার করে। নিজের পছন্দের জায়গায় বল করতে বাধ্য করার কৌশলটাও ওর দারুণ। সব থেকে যেটা ভাল, যে কোনও সময় রান তোলার গতি বাড়াতে পারে। সব মিলিয়ে দারুণ খেলোয়াড় যে নিজেকে এবং খেলাটা নিয়ে গভীরে গিয়ে ভাবে।’’ প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, ওবেড ম্যাকয়দেরও প্রশংসা করেছেন তিনি।

Advertisement

দলের এই সাফল্যের রহস্য কী? সঙ্গকারা বলেছেন, ‘‘পরিকল্পনা, কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কিছু নেই। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে পরাজয়টা কঠিন ছিল। কিন্তু ছেলেরা দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বোলাররা অনবদ্য। প্রসিদ্ধর কথা আলাদা করে বলতে হবে। আগের ম্যাচেই শেষ ওভারে ওকে ডেভিড মিলার পর পর তিনটে ছয় মারে। অথচ গুজরাত ১৬ রান ওই ওভারে না তুলতে পারলে আমরা আগেই ফাইনালে পৌঁছে যেতাম। সেই ঘটনা ওর আত্মবিশ্বাস ভেঙে দিতে পারত। কিন্তু ও নেটে পরিশ্রম করেছে। ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাকয়রাও ওকে সাহায্য করেছে। বাড়িতে প্রসিদ্ধর মা অসুস্থ। কিন্তু দেখুন ছেলেটা কী ভাবে ফিরে এল। এর মধ্যেই ভাল খবর, ওর মা অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন