Ricky Ponting

IPl 2022: নখিয়া-ওয়ার্নারকে চান চিন্তিত পন্টিং

ক্রমাগত উইকেট হারাতে থাকলে বোলারদের আক্রমণ করা খুবই কঠিন। সেটাই হয়েছে আমাদের সঙ্গে। ঋষভ এবং রভম্যান ভাল ব্যাট করছিল। আরও দু-তিন ওভার ব্যাট করলে এই ম্যাচ হেরে ফিরতে হত না।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২২ ০৭:৩০
Share:

ফাইল চিত্র।

গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ১৪ রানে হার কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না রিকি পন্টিং। দ্বিতীয় ম্যাচেও সর্বশক্তি নিয়ে নামতে পারেনি দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে কোচ রিকি পন্টিং মনে করছেন, ৭ এপ্রিল লখনউয়ের বিরুদ্ধে ডেভিড ওয়ার্নার এবং অনরিখ নখিয়াকে নিয়েই নামতে পারবে তাঁর দল। মাঝে তিন দিনের ফাঁকে নখিয়া ফিট হয়ে উঠবেন বলেই মনে করেন তিনি। কোয়রান্টিন শেষ হয়ে যাবে ওয়ার্নারেরও।

Advertisement

শনিবার ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে পন্টিং বলেছেন, ‘‘ম্যাচের আগে নেটে নখিয়াকে বল করতে দেখে মনে হয়েছে, ও একশো শতাংশ ফিট। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হলে আশা করি পরের ম্যাচ থেকেই খেলবে।’’ পন্টিং সেখানেই না থেমে আরও বলেছেন, ‘‘পরের ম্যাচের আগে বেশ কয়েক দিন হাতে পাচ্ছি। মনে হচ্ছে লখনউয়ের বিরুদ্ধে নখিয়াকে মাঠে নামাতে পারব।’’

পন্টিংয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শকে কি পরের ম্যাচে পাওয়া যেতে পারে? ঋষভ পন্থদের কোচের উত্তর, ‘‘মুম্বইয়ে ডেভিড ওয়ার্নার পৌঁছে গিয়েছে। ওর কোয়রান্টিন পর্বও শুরু হয়ে গিয়েছে। মনে হয় পরের ম্যাচের আগে ওয়ার্নার খেলার ছাড়পত্র পেয়ে যাবে।’’ মার্শকে পাওয়ার বিষয়ে পন্টিং বলেছেন, ‘‘আশা করি ১০ মার্চ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে ওকে হয়তো পাব। পাকিস্তান সফরে কোমরে চোট পেয়েছিল মার্শ। কয়েক দিনের বিশ্রামে ঠিক হয়ে যাবে। তবে ওয়ার্নারকে পরের ম্যাচে পাব, এটা নিশ্চিত। তার পরের ম্যাচে খেলবে মার্শ।’’

Advertisement

পন্টিং মনে করেন ১৭২ রান খুব একটা বড় লক্ষ্য ছিল না। ক্রমাগত উইকেট হারানোর ফলেই লক্ষ্য কঠিন হয়ে গিয়েছিল। দিল্লি প্রথম ৩৪ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়েছিল পাঁচ ওভারে। যেখান থেকে ম্যাচে ফিরে এলেও জিততে পারেনি ঋষভ পন্থের দল।

পন্টিংয়ের কথায়, ‘‘রান তাড়া করার ক্ষেত্রে শুরুর দিকে বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। আমাদের ব্যাটাররা খারাপ শট খেলে আউট হয়েছে।’’ আরও বলেছেন, ‘‘পাওয়ারপ্লের মধ্যেই যদি কোনও দল তিন উইকেট হারায়, সেখান থেকে ম্যাচে ফিরে আসা খুবই কঠিন। প্রথম ছয় ওভারের মধ্যে কোনও উইকেট না হারালে রান তাড়ার ক্ষেত্রে আদর্শ শুরু করা যেত।’’

শেষ ছয় ওভারেও দিল্লির হাতেই কিন্তু ম্যাচ ছিল। ৩৬ বলে ৫৪ রান প্রয়োজন ছিল। ক্রিজ়ে ছিলেন ঋষভ ও রভম্যান পাওয়েল। সেই পরিস্থিতি থেকে কেন ম্যাচ জেতা সম্ভব হল না, বুঝতে পারছেন না পন্টিং। বলেছেন, ‘‘হয়তো ভয় পেয়ে গিয়েছিল ওরা। ক্রমাগত উইকেট হারাতে থাকলে বোলারদের আক্রমণ করা খুবই কঠিন। সেটাই হয়েছে আমাদের সঙ্গে। ঋষভ এবং রভম্যান ভাল ব্যাট করছিল। আরও দু-তিন ওভার ব্যাট করলে এই ম্যাচ হেরে ফিরতে হত না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন