দিল্লি ডেয়ারডেভিলস নিয়ে একটা কথা বলা যায়। ওরা যেমন নিজেদের হতাশ করে, সে রকম মাঝে মাঝে প্রতিপক্ষকেও একই ভাবে হতাশ করে। এই টিমটা কখনও দরিদ্র, কখনও বা সম্রাট। এর মাঝামাঝি দিল্লির কোনও জায়গা নেই। আর দিল্লির এই অনিশ্চয়তাই কিন্তু জাহির খানদের বিরুদ্ধে নামার আগে চিন্তায় রাখবে রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টকে।
পুণের কাছে এই ম্যাচের গুরুত্বটাই আলাদা। ওরা মোটামুটি প্লে-অফে উঠে গিয়েছে। কিন্তু সবারই লক্ষ্য থাকবে প্রথম দু’দলের মধ্যে শেষ করা। দিল্লির ব্যাটসম্যানরা যে রকম বড় রান তুলতে পারে, সে রকম আবার বড় রান তুলতেও দিচ্ছে প্রতিপক্ষকে। মাঝে মাঝে দিল্লির ব্যাটসম্যানদের কাণ্ড দেখে হাসি চাপা মুশকিল হলেও নিজেদের দিনে ওরা কিন্তু যে কোনও টিমের ঘুম ছুটিয়ে দেবে। শুক্রবার যদি সে রকম একটা দিন হয়, তা হলে পুণের কিন্তু কিছু করার থাকবে না। তবে মাঠে শৃঙ্খলা দেখানোটাও একটা বড় ব্যাপার। যে কারণে পুণে আজ লিগ টেবলে এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। ওদের খেলায় শৃঙ্খলার কোনও অভাব দেখা যায়নি। উল্টোটা আবার সত্যি দিল্লির ক্ষেত্রে। ওদের সম্পর্কে বলা যায়, এ বারে সমর্থকদের ডুবিয়ে দিয়েছে দিল্লি।
দিল্লি আরও একটা প্রহেলিকা তৈরি করেছে। যে টিমের মেন্টরের নাম রাহুল দ্রাবিড়, সেই টিমের ব্যাটসম্যানরা কেন একটা ইনিংস গড়তে পারছে না, এই প্রশ্নটা এখন উঠছে। দিল্লির ব্যাটসম্যানরা যেন সব সময় লাফাচ্ছে-ঝাঁপাচ্ছে।
আরও পড়ুন: এই টুর্নামেন্টে কোহালি কিছুই করেননি: পন্টিং
একটা ছয় বা রান আউট— যে কোনও সময় যা খুশি ঘটতে পারে। দিল্লি ব্যাটসম্যানদের পক্ষে সব কিছুই যেন সম্ভব। এই ডামাডোলে ‘পার্সেন্টেজ ক্রিকেট’ শব্দটা যেন হারিয়েই গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে পুণে ওদের টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ের থেকে নিশ্চয়ই একটু বেশি কিছু চাইবে। যেমন, আবার মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে বিধ্বংসী ফর্মে দেখা। স্টিভ স্মিথ যে ধরনের ক্রিকেটার, সেই অনুযায়ী খুব বেশি শিরোনামে আসতে পারেনি। ওর কাছেও প্রত্যাশা থাকবে। আসল লড়াইয়ের জন্য কিন্তু পুণের এ বার গা গরম করা উচিত।