ফাইল চিত্র।
কাউন্টি ক্রিকেটের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। আইপিএল নিলামে কোনও দল না পেয়ে আর কীই বা করবেন? কোনও কাউন্টির সঙ্গে চুক্তির কথা ভাবছিলেন ইশান্ত শর্মা। দিন দুয়েক আগে একটা ফোন পান বেশ অপ্রত্যাশিত ভাবেই। ফোনের ও পারে বীরেন্দ্র সহবাগ, যিনি এখন কিংগস ইলেভেন পঞ্জাবের চিফ অব ক্রিকেট অপারেশনস। তিনি যখন ফোনে বললেন, ‘‘চলে আয় আমাদের দলে’’, তখন যেন হাতে চাঁদ পেলেন এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের সবচেয়ে সিনিয়র পেসার।
এ দিন তাঁর কিংগস ইলেভেনে যোগ দেওয়ার খবর ঘোষণা হওয়ার পর ইশান্ত বলেন, ‘‘আমি মোটেই ছুটির মুডে ছিলাম না। কাউন্টি খেলার কথা ভাবছিলাম। আইপিএলে নেই যখন, কোথাও তো খেলতেই হবে। আর তখনই বীরু-পাজি-র ফোনটা পেলাম।’’ নিলামে তাঁর ন্যুনতম দর ছিল দু’কোটি টাকা। সেই কারণেই হয়তো দু’বার নাম উঠলেও কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজিই তখন আগ্রহ দেখায়নি ইশান্তকে নিয়ে। তা ছাড়া গত মরসুমে আইপিএলে আহামরি সে রকম পারফরম্যান্সও ছিল না দিল্লির পেসারের। রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টের হয়ে নামলেও দুটো ম্যাচ খেলে চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিভেজা নিজামের শহরে আজ শুরু ক্রিকেটের মহোৎসব
ইশান্তকে নিলামে না নিয়ে এ ভাবে নেওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করায় বীরেন্দ্র সহবাগ এ দিন ইনদওরে বলেন, ‘‘আইপিএল ব্যাটসম্যানদের লিগ বলা হলেও অর্ধেক ম্যাচ তো বোলাররাই জিতিয়েছে। তাই মুরলী বিজয়ের জায়গায় আমরা ইশান্তকে নিলাম। প্রয়োজনে আমরা পাঁচ বোলারেও খেলতে পারি।’’
সহবাগের আশা, এ বার তাঁদের দল গত বারের চেয়ে ভাল খেলবে। বলেন, ‘‘আমাদের গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্টিন গাপ্টিল, ইওন মর্গ্যান, ড্যারেন স্যামি, ডেভিড মিলার আছে। এদের যে কোনও দু’জন ক্রিজে দাঁড়িয়ে গেলে আমরা অনায়াসে জিততে পারি।’’