চেন্নাইয়ে ম্যাচ জিতে লিগ শীর্ষে এটিকে

যুবভারতীতে হায়দরাবাদ এফসি-কে বিধ্বস্ত করার পরে চেন্নাইয়ের মাঠেও জিতলেন রয় কৃষ্ণরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:২৩
Share:

চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে গোলের পরে ডেভিড উইলিয়ামস। আইএসএল

আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস কোচিং শুরু করলেই কি এটিকে সাফল্যের সরণিতে উঠতে শুরু করে? বুধবার চেন্নাইয়িন এফসি-কে হারানোর পরে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শীর্ষে পৌঁছে গেল কলকাতা। ম্যাচের পরে এটিকের স্পেনীয় কোচ বলে দিলেন, ‘‘কত গোলে জিতলাম সেটা বড় কথা নয়। তিন পয়েন্ট পেয়েছি, এটাই আসল। গোল পার্থক্যে লিগ শীর্ষে পৌঁছেছি আমরা। সেটা ধরে রাখতে হবে। পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি।’’ প্রীতম কোটালদের পরের ম্যাচ ৯ অক্টোবর জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে যুবভারতীতে।

Advertisement

পেনাল্টি বিতর্কে উদ্বোধনী ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্সের কাছে হারের পরেও ভেঙে পড়েননি এটিকে-কে প্রথম বছর চ্যাম্পিয়ন করা কোচ হাবাস। বরং বারবার বলেছেন, ‘‘আমরা হারার মতো খেলিনি। রেফারির ভুল সিদ্ধান্ত আর গোল নষ্টই হারিয়ে দিয়েছে আমাদের।’’ এ দিনও হাভি হার্নান্দেসের একটি গোল অফসাই়ডের জন্য বাতিল করেন রেফারি। যার জন্য ফের ক্ষোভ জমেছে এটিকে শিবিরে। সূত্রের খবর, ড্রেসিংরুমে ফিরে টিভিতে রিপ্লে দেখে ক্ষুব্ধ হাবাস। তাঁর মতে এটা অফসাইড ছিল না।

যুবভারতীতে হায়দরাবাদ এফসি-কে বিধ্বস্ত করার পরে চেন্নাইয়ের মাঠেও জিতলেন রয় কৃষ্ণরা। বিরতির ঠিক পরেই গোল করেন সেই ডেভিড উইলিয়ামস, যাঁর উপরে গোলের জন্য নির্ভর করছেন হাবাস। প্রবীর দাশ বল বাড়িয়েছিলেন হাভিয়ার হার্নান্দেসকে। তাঁর শট চেন্নাই গোলকিপার বিশাল কাইতের গায়ে লেগে ছিটকে চলে যায় উইলিয়ামসের কাছে। তিনি গোল করতে ভুল করেননি। এই গোলটি আইএসএলের এক হাজারতম গোল।

Advertisement

হাবাসের এ বারের আক্রমণের মূল শক্তি তাঁর স্ট্রাইকার জুটি। অস্ট্রেলীয় ‘এ’ লিগে খেলা আসা ডেভিড উইলিয়ামস এবং রয় কৃষ্ণ। দুজনে মিলে ২৯ গোল করেছিলেন ওয়েলিংটন ফিনিক্স দলের হয়ে। সে জন্যই এ দিনও ৩-৪-৩ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন হাবাস। হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে যে দল খেলেছিল, সেই দলে মাত্র একটি পরিবর্তন করেছিলেন এটিকে কোচ। জয়েশ রানের জায়গায় প্রণয় হালদারকে তিনি নামিয়েছিলেন চেন্নাইয়ের আক্রমণকে মাঝমাঠে থামাতে। কারণ জন গ্রেগরির দলের অনিরুদ্ধ থাপা, নারিজুস ভালাসকিস, ধনপাল গণেশরা যাতে মাঝমাঠের দখল নিতে না পারেন, সেই অঙ্ক করেছিলেন হাবাস। তাতে শেষ পর্যন্ত সফল হলেও বেশ কয়েকটি সুযোগ কিন্তু পেয়েছিল চেন্নাই। গ্রেগরির দলের দুর্ভাগ্য, ওই সুযোগ তাঁর ছেলেরা নিতে পারেননি। কখনও এটিকে গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য, কখনও আবার বাইরে বল মেরে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন অনিরুদ্ধরা। বক্সের বাইরে থেকে দুটো ফ্রি-কিক পেয়েও তা বাইরে মারেন চেন্নাইয়িনের বিদেশি ফুটবলার রাফায়েল ক্লিভেরালো। লালজুয়ালা ছাংতের মতো গতিময় ফুটবলার উইং দিয়ে বারবার দৌড়ে এটিকে-কে বিপদে ফেলার চেষ্টা করলেও প্রীতম কোটালকে টপকে বিপদে ফেলতে পারেনি এটিকেকে। তবে এটাও ঠিক, প্রতিপক্ষের চাপের মুখে মাঝেমধ্যে এটিকের রক্ষণকে নড়বড়ে লেগেছে।

তবে এটিকেও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল। রয় কৃষ্ণ দুটি সুযোগ নষ্ট করেন। উইলিয়ামস গোল করলেও পরে একটি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। কৃষ্ণ এবং উইলিয়ামসকে আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন চেন্নাইয়ের ফুটবলারেরা। এটিকের সোসাইরাজ এ দিন চোট পান। তবে তা গুরুতর নয়।

আন্তোনিয়ো হাবাসের হাতে পড়লেই কোনও এক অজ্ঞাত কারণে এটিকে জেগে ওঠে। এ দিনের জয় আবারও তা প্রমাণ করল।

এটিকে: অরিন্দম ভট্টাচার্য, প্রীতম কোটাল, আনাস এডাথোডিকা, আগুস্তিন গার্সিয়া, প্রবীর দাশ, কার্ল ম্যাকহিউ, প্রণয় হালদার (শেহনাজ সিংহ), মাইকেল সোসাইরাজ (জয়েস রানে), হাভিয়ার হার্নান্দেস (এদু গার্সিয়া), ডেভিড উইলিয়ামস ও রয় কৃষ্ণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন