Sports News

প্রথম জয়ের পর চেন্নাইয়ানের চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি ব্লাস্টার্স

এটিকে আর বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধেই চেন্নাইয়ান দেখিয়ে দিয়েছে কী করে লড়ে ম্যাচ বের করে নিতে হয়। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল দু’বারই। কিন্তু জন গ্রেগরির দলে তৈরি হয়ে গিয়েছে হার-না-মানা মনোভাব। শেষ বাঁশি না-বাজা পর্যন্ত লড়াই ছাড়ছে না তারা। বলে

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ২১:১৮
Share:

কেরলের জয়ের ম্যাচের একটি মুহূর্ত। ছবি: আইএসএল।

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে মাত্র ছ’দিন আগেই প্রথম জয় পেয়েছে কেরলা ব্লাস্টার্স। শুক্রবার তারা খেলবে চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে। চাইবে আরও একটি জয় তুলে নিয়ে মরসুমের শুরুর দিকের টালমাটাল অবস্থা কাটিয়ে উঠতে।

Advertisement

রেনে মিউলেনস্টিনের দল শুরু করেছিল প্রথম তিনটি ম্যাচ ড্র দিয়েই। শেষ ম্যাচে অবশ্য ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসিকে। শুক্রবার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে খেলতে নামার আগে কোচের চাইছেন গত ম্যাচের মতো এ বারও ম্যাচের ফল তাঁদেরই পক্ষে থাকবে।

তিনি বলেন, ‘‘প্রথম কাজ হল নিজেদের ফুটবলারদের নিশ্চিত করে বুঝিয়ে দেওয়া যে, দল হিসেবে আমরা এখনও পুরোপুরি তৈরি নই। তবে ক্রমশ উন্নতি করছি এবং ব্যক্তিগত স্তরেও প্রত্যেকে আরও উন্নতি করেছে। এ ভাবেই এগোতে হবে। গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ ছাড়া বাকি সব ম্যাচেই আমরা এগিয়ে গিয়েছিলাম বিপক্ষ বক্সে, আক্রমণ তৈরি করছিলাম, সুযোগও পাচ্ছিলাম, গোলও আসছিল।’’ সঙ্গে এও জানাতে ভোলেননি যে, ক্লিনশিট রাখাটাও অগ্রাধিকার পাবে তাঁর কাছে, যেহেতু পাঁচের মধ্যে তিনটি ম্যাচে কোনও গোল খাননি তাঁরা।

Advertisement

আরও পড়ুন

বলবন্তের জোড়া গোলে নর্থইস্ট বধ মুম্বইয়ের

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তন সহকারি কোচ বলেছিলেন, ‘‘ক্লিনশিট দলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গোল না খাওয়া মানেই আমরা বুঝি পরের ম্যাচের জন্য আরও ভালভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। তাই ক্লিনশিটের গুরুত্ব অস্বীকার করা যাবে না। আমাদের ডিফেন্স ভাল। সবে মরসুমের প্রথম জয় পেয়েছি। এই ভালগুলোকে নিয়েই তো এগোতে হবে। আর এটাও ভুলে গেলে চলবে না চেন্নাইয়ান এফসি খুবই ভাল দল। যারা জানে কী করে লড়াই করে ম্যাচ বের করে নিতে হয়। আর ওপেন ম্যাচ থেকেই হোক বা সেট পিস থেকে, গোল তুলে নিতে সিদ্ধহস্ত।’’

এটিকে আর বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধেই চেন্নাইয়ান দেখিয়ে দিয়েছে কী করে লড়ে ম্যাচ বের করে নিতে হয়। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল দু’বারই। কিন্তু জন গ্রেগরির দলে তৈরি হয়ে গিয়েছে হার-না-মানা মনোভাব। শেষ বাঁশি না-বাজা পর্যন্ত লড়াই ছাড়ছে না তারা। বলেন, ‘‘আমি কখনও সন্তুষ্ট নই, হতেও দিই না দলের ফুটবলারদের। বারবার বলেছি, আমাদের আরও বেশি পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল। কয়েকবার তো সত্যিই নিজেরাই সমস্যা তৈরি করে ফেলে পয়েন্ট হারিয়েছি। কিন্তু ফুটবলাররা যে ভাবে পরিশ্রম করছে অনুশীলনে এবং ম্যাচেও তাতে আমি খুশি।’’

জেজে লালপেখলুয়া।

কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে অতীতে আটবারের লড়াইয়ে মাত্র দু’বার হেরেছে চেন্নাইয়ান। যদিও সেই পরিসংখ্যান মাথায় রাখতে নারাজ চেন্নাই। ‘‘যখন সুবিধাজনক অবস্থানে থাকি, একমাত্র তখনই পরিসংখ্যানের দ্বারস্থ হতে পারি। আমার তো মনে হচ্ছে, কেরল এখন যে জায়গায় রয়েছে তার থেকে ওপরে লিগ শেষ করতে পারে। তা ছাড়াও, প্রথম জয় পেয়ে আমাদের বিরুদ্ধে খেলতে আসছে, তাই আবারও ভাল ফলের আশাই করবে,’’ বলেন ইংরেজ কোচ।
কেরলকে হাল্কাভাবে নেওয়ার ভুল করছেন না গ্রেগরি। কারণ, একটি ম্যাচ কম খেলেও কেরল কিন্তু বল পজেশনে খুব বেশি পিছিয়ে নেই অন্যান্য দলগুলির চেয়ে। যা আলাদা করে রাখছে যুযুধান দুই দলকে। চেন্নাইয়ান যেখানে সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে ২০ শতাংশ কেরল সেখানে পেরেছে মাত্র ৯ শতাংশ। হয়ত এই পরিসংখ্যানই শেষ পর্যন্ত গড়ে দেবে ম্যাচের ভাগ্য।

মিউলেনস্টিন পাচ্ছেন না দিমিতার বের্বাতভ এবং প্রীতম কোটালকে। গ্রেগরির হাতে সম্পূর্ণ সুস্থ দল, বেছে নিতে পারেন সেরা এগারজনকেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন