গোলে শট নিচ্ছেন জেজে লালপেখলুয়া। ছবি: আইএসএল।
বেঙ্গালুরু এফসি ১ (সুনীল ৮৫)
চেন্নাইয়ান এফসি ২ (জেজে ৫, গণেশ ৮৯)
নিজেদের ঘরেই হার। টানা তিনটি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে ঘরের মাঠেই হার মানতে হল সুনীলদের। শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে রবিবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথমবার হারল বেঙ্গালুরু এফসি। ধনপাল গণেশের গোলে জিতে বেঙ্গালুরুর সমান ১২ পয়েন্টে পৌঁছে এখন তৃতীয় স্থানে চেন্নাইয়ান এফসি। বেঙ্গালুরু-চেন্নাই ম্যাচকে এক কথায় ডার্বির মাত্রা পেয়েছিল। সেখানে বিপক্ষের মাঠে জিতে চেন্নাইয়ান এফসি-র সমর্থকদের আস্থা বাড়ালেন জন গ্রেগরির ফুটবলাররা।
প্রথম গোলের সময় যদিও বলের নাগাল অল্পের জন্য মিস করেন গুরপ্রীত সিংহ। তাঁর হাতের ফাঁক গলে জেজে লালপেখলুয়ার শট জড়িয়ে যায় জালে। ফলে, খানিকটা হলেও দায়িত্ব নিতেই হবে দুই ম্যাচ নির্বাসনের পর মাঠে ফিরে-আসা বেঙ্গালুরুর গোলরক্ষককে। সুনীল ছেত্রীর গায়ে ধাক্কা লেগে বল চলে এসেছিল জেজের কাছে। সেই চলতি বলেই শট নিয়েছিলেন ভারতীয় স্ট্রাইকারদের মধ্যে আইএসএল-এ সবচেয়ে বেশি গোল-পাওয়া স্ট্রাইকার। সমতায় ফিরতে ৮৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল আইএসএল-এ এবার অভিষেকেই অন্যতম ফেভারিট বেঙ্গালুরু এফসি-কে। দোভালের পাস থেকে সুনীল বল পেয়ে গিয়েছিলেন বক্সের মধ্যেই। কোনও ভুল করেননি দেশের এক নম্বর স্ট্রাইকার।
দ্বিতীয় গোলের সময়ও নিরুপায় দেখাল গুরপ্রীতকে। রেনে মিহেলিচের ভাসানো বলে লাফিয়ে হেড করেছিলেন ধনপাল গণেশ। সেই বলের নাগাল পাননি গুরপ্রীত। ৮৯ মিনিটে দ্বিতীয়বার পিছিয়ে পড়ার পর বেঙ্গালুরু চেষ্টা করেও পারেনি সমতা ফেরাতে।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুনীল একবার বল পেয়ে গিয়েছিলেন ছ’গজ বক্সের মধ্যে। কিন্তু সুনীলের দুর্বল শট বিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ফিরে এসেছিল। ওই জায়গা থেকে সুনীলের কাছে গোল আশা করতেই পারে তাঁর দল। প্রথমার্ধে একবার এদু গার্সিয়ার শটও পোস্টে লেগে ফিরে এসেছিল, যে কারণে ভাগ্যকেও দোষারোপ করতে পারেন সুনীলরা।
আরও পড়ুন
বিনীতের গোলে অবশেষে প্রথম জয় পেল কেরল ব্লাস্টার্স
এর বাইরে বেরিয়ে রেফারিং নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল। একবার পেনাল্টির দাবি উঠেছিল বেঙ্গালুরুর তরফে এবং একবার বক্সের ঠিক বাইরে, সুনীলকে ফাউল করলেও নিশ্চিত ফ্রি কিক দেননি রেফারি। তা ঘিরে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হলেও তা বেশিদূর গড়ায়নি। ম্যাচ শেষে স্টেডিয়াম কিছুটা উত্তপ্তও হয়ে ওঠে। বল পজেশন বেশি রেখেও কাজের কাজ করতে ব্যর্থ বেঙ্গালুরুর ফরোয়ার্ডরা।
এ দিন প্রথম এগারোয় ছ’টি বদল করেছিলেন বেঙ্গালুরু কোচ রোকা। সেখানেই হয়তো কিছুটা তাল কাটল এই দলের। প্রথম দুটো ম্যাচ ঘরের মাঠে খেলার পরের তিনটি ম্যাচ অ্যাওয়ে ছিল বেঙ্গালুরুর। সেখানেও দারুণ ছন্দে ছিল দল। একদিন আগেই এফসি গোয়া ৫-১ জিতে তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছিল। এক পয়েন্ট পেলেই আবার শীর্ষে উঠে যেতে পারত বেঙ্গালুরু। কিন্তু তেমনটা হল না।