গিলেসপির পরামর্শে সমস্যামুক্ত ইশান্ত

হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ জেতার পরে নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের ইশান্ত বলেন, ‘‘ভারতে দেখা যায়, সবাই সমস্যার কথা বলছে। কিন্তু সমাধান খুঁজে দেওয়ার লোক পাওয়া যায় না।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:২৫
Share:

ছন্দে: গতিতেই দিল্লিকে জয় উপহার ইশান্তের। ফাইল চিত্র

তাঁর কী সমস্যা, সেটা জানতে অসুবিধে হয়নি ইশান্ত শর্মার। কারণ, সমস্যার কথা বলার লোকের অভাব ছিল না। ছিল সমাধান খুঁজে দেওয়ার লোক। সেই লোককে শেষ পর্যন্ত খুঁজে পেয়েছিলেন ইশান্ত। যাঁর নাম— জেসন গিলেসপি। পাশাপাশি ইশান্ত মনে করেন, মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব এবং তাঁর খুব ভাল বোঝাপড়া থাকায় সাফল্য আসছে।

Advertisement

হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ জেতার পরে নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের ইশান্ত বলেন, ‘‘ভারতে দেখা যায়, সবাই সমস্যার কথা বলছে। কিন্তু সমাধান খুঁজে দেওয়ার লোক পাওয়া যায় না। সমাধান পাওয়াটাই তো আসল ব্যাপার, তাই না? আমি বুঝেছিলাম, দু’এক জন আছে যারা সমাধানের কথা বলতে পারে। যারা ভাল কোচ তারাই শুধু সমাধানের রাস্তা দেখায়।’’ ইশান্তের সমস্যাটাই বা কী ছিল? সমাধানটাই বা কী পেলেন তিনি? কিছু দিন আগে হওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের সেরা এই পেসার বলেছেন, ‘‘অনেকেই আমাকে বলেছিল, ব্যাটের কাছাকাছি যে সব বল পড়ছে, তার গতি বাড়াতে হবে। কিন্তু কী ভাবে বাড়াতে হবে, তা বলেনি। এর পরে যখন আমি কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে যাই, গিলেসপি আমাকে সমাধান বার করে দেয়।’’

কী বলেছিলেন গিলেসপি? ইশান্তের কথায়, ‘‘ওই সব ডেলিভারিতে গতি বাড়ানোর জন্য গিলেসপি বলেছিল, বলটা শুধু ছাড়লেই হবে না, জোরের উপরে পিচ ফেলতে হবে। আর লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে ব্যাটসম্যানের হাঁটুর কাছাকাছি জায়গায় বলটা থাকে।’’

Advertisement

গিলেসপির পরামর্শ মানতে অনুশীলনের পদ্ধতিতেও কিছুটা বদল আনেন ইশান্ত। ‘‘নেটে আমি আগে গুডলেংথ স্পটে মার্কার রেখে বল করতাম। কিন্তু পরে বুঝলাম, এই ধরনের প্র্যাক্টিসে তরুণ ক্রিকেটাররা লাভবান হতে পারে, আমি নই। আমার দেখার প্রয়োজন ছিল, বলটা কোথায় গিয়ে শেষ হচ্ছে। কোথায় পিচ পড়ছে, সেটা নয়। গিলেসপির পরামর্শ শুনে আমার বলের গতি বেড়ে যায়।’’

ইশান্ত মনে করছেন, মহেন্দ্র সিংহ ধোনির জমানায় ছয়-সাত জন পেসারকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হত, যে কারণে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াটা সে ভাবে তৈরি হয়নি। দিল্লির এই পেসার বলেছেন, ‘‘ধোনির সময় ফাস্ট বোলারদের খুব বেশি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করা হত। তা ছাড়া আমাদের অভিজ্ঞতাও সে রকম ছিল না তখন।’’

এখন পরিস্থিতি কতটা বদলেছে, সেটাও বলেছেন ইশান্ত, ‘‘বিরাট কোহালি অধিনায়ক হওয়ার সময় আমাদের অভিজ্ঞতাও বেড়েছিল। পেসারদের গ্রুপটা তিন-চার জনে (যশপ্রীত বুমরাকে ধরে) এসে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় বোঝাপড়াটাও ভাল থাকে

নিজেদের মধ্যে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন