প্রশংসা: বুমরাকে নিয়ে চাপে থাকছে অস্ট্রেলিয়া। ফাইল চিত্র
প্রতিপক্ষের থেকে প্রশংসা কুড়িয়ে নেওয়া হয়তো এক জন ক্রিকেটারের পরম প্রাপ্তি। ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের শুরুতেই যে প্রাপ্তি হল যশপ্রীত বুমরার। ভারতীয় পেসারের বোলিংয়ে মুগ্ধ অস্ট্রেলীয় পেসার প্যাট কামিন্স। তিনি জানিয়ে দিলেন, তিন ফর্ম্যাটে বুমরাকে টেক্কা দেওয়া সত্যি খুব কঠিন।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বুমরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, সাদা বলে তিনি কতটা ভয়ঙ্কর। শেষ দু’ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। ১৯তম ওভারে বুমরা বল করতে এসে দু’রান দিয়ে দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন। পিটার হ্যান্ডসকম্ব ও নেথান কুল্টার-নাইলকে আউট করে ম্যাচে ফেরান বিরাট-বাহিনীকে। যদিও শেষরক্ষা হয়নি।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বুমরার সেই বোলিং (৪-০-১৬-৩) ভুলতে পারেননি অস্ট্রেলীয় পেসার। মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘ও জাত বোলার। ওর ভিত খুব শক্ত। বুমরার দুটি জিনিস খুব ভাল। গতি ও ঠিক জায়গায় বল রাখতে পারার ক্ষমতা। বিশ্ব ক্রিকেটে এই দু’টি কাজ যে বোলার ঠিক ভাবে করতে পারবে, সে সাফল্য পাবেই। ইয়র্কারের পাশাপাশি স্লোয়ার বলকে খুব ভাল ব্যবহার করতে পারে। দক্ষতার পাশাপাশি ক্রিকেটীয় বুদ্ধি না থাকলে এটা করা যায় না।’’ কামিন্স মনে করেন, ভবিষ্যতে বুমরা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন। তাঁর কথায়, ‘‘ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাটেই বুমরা খুব ভাল পারফর্ম করেছে। আগামী দিনেও ওর থেকে অনেক কিছু পাওয়া যাবে বলে মনে হয়।’’
বুমরার যিনি প্রশংসা করছেন, সেই কামিন্সও এই মুহূর্তে দারুণ ফর্মে । কিছু দিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারও হয়েছেন তিনি। দেশের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে ভাল বল করেছেন। ভারত সফরে এসে প্রথম ম্যাচেই ব্যাটে-বলে সফল হয়ে দলকে জিতিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ২৫ বছর বয়সি পেসারকে নিয়ে প্রচুর আলোচনাও চলছে। কামিন্স বলছেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে নিয়ে চর্চা হতে দেখে ভাল লাগছে। নিজের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা আনতে পেরেছি। এটাই প্রয়োজন ছিল।’’ সাদা বলের ক্রিকেট যদিও কামিন্স বেশি খেলেননি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মানিয়ে নেওয়াই এখন তাই চ্যালেঞ্জ।