ব্যক্তিগত প্রাপ্তি নয়, দল নিয়েই ভাবেন যশপ্রীত

কী ভাবে এত সফল, তা সাংবাদিকদের রবিবার জানালেন ‘বুম বুম’ বুমরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৭
Share:

যশপ্রীত বুমরা।—ছবি এএফপি।

ইংল্যান্ড সফরে ডিউকস বল ব্যবহার করার ফল তিনি পেতে শুরু করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট সিরিজে। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সাত রানে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পরে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে হ্যাটট্রিক-সহ ছয় উইকেট যশপ্রীত বুমরার ঝুলিতে। ১২.২ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ছয় উইকেট তুলে নেন তিনি।

Advertisement

কী ভাবে এত সফল, তা সাংবাদিকদের রবিবার জানালেন ‘বুম বুম’ বুমরা। ভারতীয় পেসার বলেন, ‘‘ইংল্যান্ডে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। বিশেষ করে টেস্টে ডিউকসে বল করার অভিজ্ঞতা আমাকে অনেকটা সাহায্য করছে। আউটসুইং বা ইনসুইং করাতে পারার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। একজন বোলারের আত্মবিশ্বাস এমনিতেই বাড়িয়ে দেয়। ক্যারিবিয়ান সফরে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই সফল হয়েছি।’’

দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনই বিপক্ষকে চতুর্থ ইনিংসে ৪৬৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাট করতে নেমে ৪৫ রানের মধ্যে দু’টি উইকেটও হারিয়ে ফেলেছে। ড্যারেন ব্র্যাভো, জন ক্যাম্পবেলের বিরুদ্ধে কী পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিলেন বুমরা? তাঁর উত্তর, ‘‘উইকেট বুঝতে না পারলে কোনও পরিকল্পনা ঠিক করা যাবে না। আগে উইকেট বুঝতে হবে। সাবাইনা পার্কের উইকেটে প্রচুর বাউন্স রয়েছে। তাই অনেকেই লোভ সামলাতে না পেরে শর্ট বল করবে। কিন্তু সেটা করলে উইকেটের সদ্ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। চেষ্টা করা উচিত গুড লেংথ ও ফুল লেংথে বল করার। কারণ, সেখান থেকেই সাহায্য পাওয়া সম্ভব। সেটাই ছিল আমাদের পরিকল্পনা।’’

Advertisement

বুমরার কাছে নিজের পারফরম্যান্সের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ দলের স্বার্থ। কখনও দলের চেয়ে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সকে বেশি গুরুত্ব দেন না। বলেছেন, ‘‘দল আমার থেকে কী চাইছে সেটা সবার আগে বোঝার চেষ্টা করি। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ছাড়াও যদি দল জেতে তা হলে আমার কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু আমি দারুণ কিছু করলাম অথচ দল জিততে পারল না, সেটা কখনওই চাই না। দলের স্বার্থে পারফর্ম করাই আমার লক্ষ্য। তা উইকেট তুলেই হোক বা চাপ তৈরি করে। নিজের জন্য ক্রিকেট খেলি না।’’

বুমরা জানিয়েছেন, ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ শামি, উমেশ যাদবদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের থেকে যখনই পারেন পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রত্যেকেই বুমরার আগে টেস্ট অভিষেক করেছেন। তাই সিনিয়রদের থেকে পরামর্শ নিতে দ্বিধাবোধ করেন না ২৫ বছর বয়সি পেসার। ‘‘দ্বিধাবোধ করব কেন? ওরা তো আমারই সতীর্থ। আমরা খুব ভাল বন্ধু। তা ছাড়া আমাদের প্রত্যেকের চেয়ে বেশি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ইশান্ত ভাইয়ের। শামি আর উমেশেরও আগে অভিষেক হয়েছে। তাই যখনই মনে হয়, ওদের কিছু না কিছু জিজ্ঞাসা করতে থাকি।’’

দ্বিতীয় টেস্টেই কোনও এক ব্যাটসম্যানকে বুমরা ফেরানোর পরে স্টাম্প মাইকে কোহালিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘কী অসাধারণ বোলার ও।’’ অধিনায়কের থেকে এ ধরনের প্রশংসা পাওয়ার অনুভূতি কী রকম? বুমরার উত্তর, ‘‘কোহালির প্রশংসা আমাকে আরও উদ্বুদ্ধ করে। নিজের প্রতি আস্থা বাড়িয়ে দেয়। সব সময় বোলারকে স্বাধীন ভাবে বল করতে দেয়। অতিরিক্ত নির্দেশ দিয়ে ঘাবড়ে দেয় না বিরাট। একজন অধিনায়কের থেকে এটাই আশা করি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন