ফেডারেশনের বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার ইচ্ছা মনের মধ্যে লালন করতেন এত দিন। সেই অদম্য ইচ্ছার জোরে চলতি বছর জেজে লালপেখলুয়া গোলের পর গোল করে গিয়েছেন। তা সে দেশ হোক বা ক্লাব অথবা আইএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজি টিমের জার্সিতে। এই আগুনে পারফরম্যান্সের সৌজন্যে চলতি বছরে ফেডারেশনের বর্ষসেরা এই মিজো ফুটবলার-ই।
বুধবার দিল্লির ফুটবল হাউসে ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভার পর প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল নাম ঘোষণা করেন জেজের। এর পরই শিশুর সারল্য নিয়ে ফোনে জেজের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, ‘‘ছোটবেলায় মিজোরামে গ্রামের বাড়িতে ফুটবল খেলার দিনগুলো থেকেই স্বপ্ন দেখতাম একদিন দেশের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার পাব। ভাইচুং, বিজয়ন, সুনীলভাইয়ের মতো সিনিয়ররা এই পুরস্কার পেয়েছে অতীতে। সেই তালিকায় নিজের নাম উঠল। খুশি তো লাগবেই।’’ সঙ্গে এটাও বলতে ভুললেন না, ‘‘পরিবার, কোচ, সতীর্থরা পাশে ছিল বলেই আমার এই সাফল্য।’’
চলতি বছরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ, আই লিগ, আইএসএল মিলিয়ে ৪১ ম্যাচে জেজের গোল ২৯। এর মধ্যে দেশের জার্সিতে পাঁচ ম্যাচে ছয় গোল, মোহনবাগানের হয়ে আই লিগ ও ফেড কাপে ২৭ ম্যাচে ২০ গোল। আইএসএলে ৯ ম্যাচে তিন গোল করেছেন তিনি। বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ায় ট্রফি ও আড়াই লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার পাচ্ছেন জেজে। গত বছর এই পুরস্কার পান বেঙ্গালুরু এফসি-র ইউজেনসিন লিংডো।
জেজের সঙ্গেই ফেডারেশনের বিচারে মেয়েদের বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন ওড়িশার সস্মিতা মালিক, সেরা তরুণ প্রতিভা ইস্টবেঙ্গলের রওলিন বর্জেস, সেরা রেফারি বাংলার প্রাঞ্জল বন্দ্যোপাধ্যায়, সেরা সহকারী রেফারি জোসেফ টনি।
মঙ্গলবার আদালতে ফেডারেশনের বিরুদ্ধে নির্বাচন স্থগিত রাখার মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় এ দিন সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলের প্যানেলই পাস হয়ে যায় সবর্সম্মত ভাবে। যে কর্মসমিতিতে ১৯৮৪ সালের পর এই প্রথম গোয়ার কোনও প্রতিনিধির জায়গা হয়নি। ফের ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রফুল্ল পটেলের ঘোষণা, ‘‘ভারতীয় ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নীতি এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে কোনও আপস করবে না ফেডারেশন।’’