ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে এখনও কোনও ধারণাই নেই জনির

নিজস্ব সংবাদদাতাকোস্টা রিকার জার্সিতে দু’জনকে আটকানোর দায়িত্বে থাকা জনি আকোস্টা জ়ামোরা মনে করেন, দু’জনের মধ্যে মেসিই সেরা। ‘‘রাশিয়ায় নব্বই মিনিট নেমার শুধু নয় পুরো ব্রাজিলকে আটকে রেখেছিলাম। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে দু’গোল খেয়ে হেরে গেলাম। সেই আফসোস এখনও আছে। খারাপও লেগেছে। মেসির সঙ্গেও খেলেছি। আমার মতে মেসিই সেরা।’’

Advertisement
শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৩৫
Share:

আকর্ষণ: ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিদেশি জনি আকোস্টা। ফাইল চিত্র

নেমার দা সিলভা স্যান্টোস (জুনিয়র)-এর বিরুদ্ধে সদ্য খেলে এসেছেন রাশিয়া বিশ্বকাপে।

Advertisement

সাত বছর আগে কোপা আমেরিকায় খেলেছিলেন লিয়োনেল মেসির বিরুদ্ধে।

কোস্টা রিকার জার্সিতে দু’জনকে আটকানোর দায়িত্বে থাকা জনি আকোস্টা জ়ামোরা মনে করেন, দু’জনের মধ্যে মেসিই সেরা। ‘‘রাশিয়ায় নব্বই মিনিট নেমার শুধু নয় পুরো ব্রাজিলকে আটকে রেখেছিলাম। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে দু’গোল খেয়ে হেরে গেলাম। সেই আফসোস এখনও আছে। খারাপও লেগেছে। মেসির সঙ্গেও খেলেছি। আমার মতে মেসিই সেরা।’’

Advertisement

বুধবার দোভাষীর অভাবে ভেস্তে গিয়েছিল জনির সাংবাদিক সম্মেলন। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ভুল শুধরে কোস্টা রিকার স্টপারকে ফের হাজির করা হয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। স্প্যানিশ ভাষায় দোভাষীর মাধ্যমে বিশ্বকাপ থেকে ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে সব কথাই জানিয়ে দেন ভারতে প্রথম বার আসা ফুটবলার।

‘‘ভারতীয় কোনও দলের খেলা কখনও দেখিনি। এখানে এসে প্রথম ইস্টবেঙ্গল-পুলিশ ম্যাচ দেখলাম। ভারতে ক’টা লিগ খেলা হয় সে সম্পর্কেও কোনও ধারণা নেই আমার,’’ অকপট লাল-হলুদের নতুন তারকা। কোনও ভনিতা নেই। কাঁধ ঝাঁকিয়ে কথা বলেন। নানা প্রশ্নে মুখে মাঝেমধ্যেই খেলে যায় হাসি। জানিয়ে দেন, ইস্টবেঙ্গল টিডির সঙ্গে দেখা হলেও দল সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণা নেই।

এ রকম ঝলমলে ফুটবল জীবন জনির। সবে মাত্র বিশ্বকাপ খেলেছেন। ভারতীয় ফুটবলে তিনিই প্রথম ফুটবলার যিনি সদ্য বিশ্বকাপ খেলে এসে কলকাতা লিগের মতো তৃতীয় শ্রেণির লিগে নামছেন। শুধু তাই নয়, কলম্বিয়ার মতো দেশের ক্লাব ছেড়ে কেন ইস্টবেঙ্গলে খেলতে এলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পঁয়ত্রিশ বছরের কোস্টা রিকার ফুটবলার বলে দিলেন, ‘‘নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে এখানে এসেছি। ইস্টবেঙ্গলের বয়স প্রায় একশো বছর। ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে অভিজ্ঞ কোচেরা (আইএসএলে কোচিং করানো আলেসান্দ্রো গুইমারেসের নাম করলেন) বললেন ভাল সুযোগ।
তাই চলে এলাম।’’

অনুশীলনে না নামলেও জনি যে চূড়ান্ত পেশাদার সেটা বোঝা গিয়েছে তাঁর প্রতিটি কথাতেই। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিশ্বকাপের মতো মাঠে খেলে আসার পর কাদা মাঠে খেলতে সমস্যা হবে কী না? জনির জবাব, ‘‘কোনও সমস্যা হবে না।’’ আপনি কি এখানে সফল হবেন? এই প্রশ্নে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এখানকার ফুটবলের মান সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই, মাঠে নামলে বুঝতে পারব। আমি ম্যাচ ফিট আছি। সই হলেই নেমে পড়তে পারি।’’ কোচ বা সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলতে সমস্যা হবে না? বিশ্বকাপারের জবাব, ‘‘জীবনে প্রথম এই রকম পরিস্থিতিতে পড়েছি। তবে ফুটবলের তো নিজস্ব ভাষা আছে।’’

ব্রাজিল এবং রাশিয়া দু’টো বিশ্বকাপেই খেলেছেন জনি। কোনটা সেরা? ‘‘ব্রাজিলে আমরা শেষ আটে উঠেছিলাম। রাশিয়ায় গ্রুপ লিগেই বিদায়। তাই আগেরটাই সেরা।’’

মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল থেকে এটিকে। কলকাতা ডার্বি, আইলিগ থেকে আইএসএল, কলকাতা ময়দানের সমস্ত খবর জানতে পড়ুন আমাদের খেলা বিভাগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন