তাঁর কোচিংয়ে হংকংয়ের কিতচি এফসি একবারও এএফসি কাপে হারাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গলকে। যুবভারতীতে এলকো সতৌরির ইস্টবেঙ্গল ১-১ ড্র করেছিল, আর হংকংয়ে গিয়ে র্যান্টি-ডুডুরা ২-২ রেখেছিলেন ম্যাচ।
সেই পরিচিত মুখক শেষ পর্যন্ত কোচ বাছল আটলেটিকো দে কলকাতা। আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের জায়গায় আগামী আইএসএলে এটিকে কোচ হয়ে আসছেন হোসে ফ্রান্সিসকো মোলিনা। কেরল ব্লাস্টার্সের ডেভিড জেমসের পর আর এক কিপার কোচ আইএসএল দলের দায়িত্ব নিচ্ছেন।
মোলিনা স্পেনের বিশ্বকাপার। তবে গোলকিপার হিসেবে ইংল্যান্ডের জেমসের মতো সিভি নয় তাঁর। আটানব্বই বিশ্বকাপে দলে থাকলেও একটাও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি মোলিনা। জাতীয় দলে তাঁর অভিষেক ঘটে দু’বছর পর। দু’হাজার ইউরো কাপে। আটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে লা লিগা জেতা কিপার যদিও ইউরোয় নরওয়ের কাছে বিশ্রী গোল খেয়েছিলেন।
মেলিনার কোচ হিসেবে অবশ্য বেশ কিছু সাফল্য রয়েছে। স্পেনে ভিয়ারিয়াল, গেটাফের ‘বি’ টিমকে কোচিং করিয়েছেন। হংকংয়ে কিতচিকে এএফসি কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছেন।
জুনে কলকাতায় আসছেন তিনি। এটিকে সূত্রের খবর, প্রথমে রোমানিয়ার কসমিন কন্ত্রার সঙ্গে এতটাই কথাবার্তা এগিয়ে গিয়েছিল যে তাঁর নামও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল আইএসএল সংগঠকদের কাছে। কিন্তু তার এক দিনের মধ্যে কন্ত্রা জানিয়ে দেন, তিনি অন্য জায়গায় কোচিং করাতে যাচ্ছেন। ফের নতুন করে মাদ্রিদ থেকে আটলেটিকো কর্তারা তিনটে নাম পাঠান। কলকাতার কর্তারা শেষ পর্যন্ত বেছে নেন মোলিনাকে।
জোড়া চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রায় এক বছর বাদে ফের কলকাতায় আসছেন মোলিনা। হাবাস কলকাতাকে এক বার চ্যাম্পিয়ন করেছেন, এক বার শেষ চারে তুলেছেন। সেটাকে ছোঁয়া যেমন একটা চ্যালেঞ্জ, তেমনই এক বছর আগে কলকাতায় সাফল্য না পাওয়ার খারাপ পরিসংখ্যানও শুধরোতে হবে তাঁকে।