উল্লাস: বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে দিয়ে আমির। লর্ডসে। ছবি: এএফপি।
আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে শেষ দু’টি ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। আইপিএলে পারফরম্যান্স দেখেই ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে ফিরিয়ে আনা হয় জস বাটলারকে। লর্ডসে সেই বাটলারের হাতেই এখন ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ। তৃতীয় দিনের শেষে তাঁর অপরাজিত ৬৬ রানই ইনিংস হারের মুখ থেকে বাঁচায় ইংল্যান্ডকে। দিনের শেষে ৫৬ রানে এগিয়ে তাঁরা। ডমিনিক বেসের সঙ্গে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার কঠিন লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছেন বাটলার।
ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে পাক পেসার হাসান আলি ও মহম্মদ আব্বাসের দাপটে ১৮৪ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। জবাবে ৩৬৩ রান করে পাকিস্তান। ১৭৯ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামেন অ্যালেস্টেয়ার কুকরা। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই মহম্মদ আমির (২-৩৫) ও আব্বাসের (২-৩৬) সুইং সমস্যায় ফেলতে শুরু করে ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের। একই সঙ্গে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন লেগস্পিনার শাদাব খান (২-৬৩)। রুট (৬৮) এক দিক থেকে ইনিংস ধরে রাখলেও প্রথম দিকের আর কোনও ব্যাটসম্যান তা পারেননি। পাক বোলারদের সম্মিলিত প্রয়াসেই ১১০ রানে ছ’উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের এই অবস্থা দেখে মনে হয়েছিল হয়তো ইনিংস হার দিয়েই সিরিজ শুরু করবেন রুটরা। কিন্তু সেটা হতে দিলেন না বাটলার ও নবাগত বেস। তাঁদের অপরাজিত ১২৫ রানের জুটি বিপক্ষের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। অভিষেক ম্যাচে বাটলারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ৫৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন বেস।
সাধারণত দিনের শেষ বলটি ঝুঁকি না নিয়ে ডিফেন্স করেন ব্যাটসম্যানেরা। বেস কিন্তু আমিরের শেষ বলটি কভার ড্রাইভে চার মেরে দিন শেষ করেন। ভাল জায়গাতেই আছেন সরফরাজ খানরা। চতুর্থ দিনের শুরুতে এই জুটি ভেঙে দিয়ে পাকিস্তান জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।