চ্যালেঞ্জ: বারবার নিজেকে প্রমাণ করার পরীক্ষায় বিরক্ত রোনাল্ডো।
তোরিনোর প্রায় পঁচিশ বছরে প্রথম বার জুভেন্তাসকে হারানোর স্বপ্ন চুরমার করে দিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর হেডে করা গোল। সেরি আ-য় শুক্রবার রাতে দু’দলের লড়াই শেষ হল ১-১ স্কোরে।
রোনাল্ডো নিজে বললেন, বারবার যে ভাবে তাঁকে সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করতে হয় তাতে তিনি কখনও কখনও হতাশ হয়ে পড়েন। বলেছেন, ‘‘আমি কতটা ভাল সেটা প্রত্যেক বছরই আমাকে প্রমাণ করতে হয়। স্বীকার করছি, এই একটা কারণে মাঝেমাঝে বিরক্ত হয়ে যাই।’’ যোগ করেছেন, ‘‘ব্যাপারটা চাপের। চাপটা নিজের উপর তৈরি হয়। তৈরি হয় মা, ছেলে বা পরিবারের উপরও।’’ তাঁর আরও কথা, ‘‘অবশ্য এই চাপের জন্য যেন আরও সক্রিয় হয়ে যাই। প্রচুর অনুশীলন করি। তবে আবার বলছি, যে তার পরেও কখনও কখনও এটা বিরক্তিকর মনে হয়।’’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেলেও রোনাল্ডো মনে করেন, জুভেন্তাসেও তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। ‘‘সব সময় মাথায় রাখি যে আমাকে নম্র হতে হবে। সব কিছু তো জানি না। তাই এখনও অনেক শিখতে হয়। তবে যে কোনও বুদ্ধিমান খেলোয়াড়ের উন্নতি হবেই। হয়তো আমার ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে,’’ বলেছেন রোনাল্ডো।
রোনাল্ডোকে প্রশ্ন করা হয়, ৩৪ বছর বয়সেও এতটা উঁচু মানের ফুটবল খেলা কী করে সম্ভব? জবাব, ‘‘আমার কাছে বয়সটা নিছক একটা সংখ্যা। লোকে কত কী বলে। বারবার মনে করায় বয়সের কথা। কিন্তু ৩৩, ৩৪, ৩৫— এ সবই অর্থহীন। একটা কথাই বুঝি, সব সময় অন্যদের চমকে দিতে হবে।’’ রোনাল্ডো অবশ্য স্বীকার করেছেন, তাঁর জীবন এখনও নিখুঁত হয়নি, ‘‘সবাই ভাবে আমার জীবনে সমস্যা নেই। কখনও আমার মন খারাপ হয় না। এত সাফল্য আর উপার্জনের জন্য উদ্বেগও নেই।’’ সঙ্গে আরও বলেছেন, ‘‘আমার উদ্বেগ তো আছেই। ভাল করেই জানি কিছু লোক সব সময় আমার দিকে বন্দুক তাক করে আছে। কখনও পেনাল্টি নষ্ট করলে বা বড় ম্যাচে ব্যর্থ হলেই হল।’’ উদ্বেগের পরিস্থিতি আরও এসেছে। স্পেনে কর ফাঁকি দেওয়ার মামলায় জড়ানো যেমন। যা নিয়ে রোনাল্ডো বলেছেন, ‘‘আমার জীবন খোলা পাতার মতো। কিছু লুকোইনি। কর-মামলার ব্যাপারটাও তাই। তবে স্পেনীয়রা সব সময় ভাল ব্যবহার করেছে। আর রিয়ালের সমর্থকেরা এখনও চায় ওদের ক্লাবে ফিরে যাই।’’