প্রত্যয়ী: আজ দিল্লিতে পরীক্ষা কার্তিকদের। ফাইল চিত্র
প্রাক্তন অধিনায়কের দুঃসময়ে তাঁর পুরনো দল গৌতম গম্ভীরের নতুন ডেরায়। কাকতালীয় হলেও ঘটনাটা সত্যি। শুক্রবার ফিরোজ শাহ কোটলায় দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের এই খারাপ সময়ই কাজে লাগাতে চায় কলকাতা নাইট রাইডার্স।
দিল্লিতে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপর গরম। তাই কোটলার উইকেটও ফুটিফাটা। স্পিনারদের মুখে হাসি ফোটানোর পক্ষে যা যথেষ্ট। আর দীনেশ কার্তিকের দলে তো তিন সফল স্পিনার রয়েছেনই, যাঁরা ম্যাচ জেতানোরও ক্ষমতা রাখেন। সুনীল নারাইন, কুলদীপ যাদব ও পীযূষ চাওলা। এই তিন স্পিনারকে নিয়েই শুক্রবার বিপক্ষের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়তে চান কার্তিকরা।
নাইট অধিনায়কের কথাতেই তার সেই ইঙ্গিত। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘গরমে পিচ শুকিয়ে গিয়ে গতি কমে যায়। তাই স্পিনাররা এখানে আরও বেশি কার্যকর হয়ে উঠবে বলেই মনে হয়।’’ দিল্লির দলে স্পিনার বলতে অমিত মিশ্র, রাহুল তেওয়াটিয়া ও শাহবাজ নাদিম। কিন্তু এই তিনজনের যেখানে মিলিত শিকার সংখ্যা ৯, সেখানে সুনীল নারাইন একাই নিয়েছেন ৮ উইকেট। পীযূষ চাওলার সংগ্রহে ৫ ও কুলদীপ যাদব নিয়েছেন ৬টি উইকেট। অন্য দিকে প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনার অমিতের ঝুলিতে একটিও উইকেট নেই। পীযূষ চাওলার আবার এটি ২০০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই মাইলফলককে স্মরণীয় করে রাখার জন্য আদর্শ পরিবেশ পেতে চলেছেন তিনি।
শুক্রবার তাঁর স্পিনার বাহিনী কোটলা মাতাবেন সেই আশাতেই রয়েছেন কার্তিক। বলেন, ‘‘আমাদের স্পিনারদের সঙ্গে অন্য কোনও দলের স্পিনারদের তুলনা করতে চাই না। শুধু এটুকু বলতে পারি, আমাদের স্পিনাররা সাফল্যের মধ্যেই রয়েছে আর এই পরিবেশটা ওরা আশা করি কাজে লাগাতে পারবে। বোলারদের কাজই হল ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া। সেটা ওরা করে দেখিয়ে দিয়েছে। তার উপর উইকেট, আবহাওয়া যদি ওদের আরও সাহায্য করে, তা হলে ওরা আরও ভাল পারফরম্যান্স করবে নিশ্চয়ই।’’
আন্দ্রে রাসেল ইডেনে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে বোলিং করার সময় চোট পেলেও এখন তিনি ভাল আছেন বলে জানান কার্তিক। এ দিন নেটে অনুশীলনও করেন তিনি। তবে শুক্রবার মাঠে নামবেন কি না, তা নিয়ে কিছু বলেননি।
বিপক্ষ শিবিরের সদ্য প্রাক্তন হওয়া অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের কাছে এই ম্যাচটা আবার বড় পরীক্ষা। তবে কেকেআরের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগেই কেন দায়িত্ব ছাড়লেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছেই। চাপমুক্ত হয়েই কি তিনি নাইটদের বিরুদ্ধে একটা ভাল ইনিংস খেলতে চান? এই প্রশ্ন উঠছে। যার উত্তর পেতে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।
বিপক্ষ শিবিরের সমস্যাই এই ম্যাচে তাঁদের সুবিধা দেবে কি না, তা জানতে চাইলে কার্তিক বলেন, ‘‘গম্ভীরের সমস্যাটা বুঝতে পারছি। এই সিদ্ধান্তটা নেওয়া ওর পক্ষে কঠিন ছিল। তবে এটা সম্পুর্ণ ওর ব্যাপার। বিপক্ষের চেয়ে নিজেদের নিয়েই বেশি ভাবি আমরা। তবে আমার ধারণা, এই জায়গা থেকে ওরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেই। তাই এই ম্যাচে আমাদের কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে হতে পারে। সেটা ধরে নিয়েই প্রস্তুত হচ্ছি। আর কাল সেই ভাবনা নিয়েই মাঠে নামব।’’
আইপিএলের ইতিহাস বলছে কেকেআরের বিরুদ্ধে দিল্লির রেকর্ড খুব একটা ভাল নয়। দুই দলের মধ্যে ২০বার দেখা হয়েছে। কলকাতা জিতেছে ১৩বার ও দিল্লি জিতেছে ৭বার।