দুর্দান্ত সমর্থন পেলাম। ম্যাচ শেযে সচিনের টুইট। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই
কেরল ব্লাস্টার্স ৩ (জোসু, রফি, ওয়াট) : নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড ১ (ভেলেজ)
বিরতির আগে পর্যন্ত কোনও গোল করতে পারেনি তাঁর টিম। কপালে চিন্তার ভাঁজটা তাই চওড়া হচ্ছিল। তবে নিজের টিমের জয় সম্পর্কে আশাবাদী ছিলেন তিনি— সচিন তেন্ডুলকর। বিরতির সময় সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সমর্থকদের উদ্দেশে সচিন বলে দেন, ‘‘শুধু কেরল ব্লাস্টার্সকে সমর্থন করে যান। জয় আমরা পাবই।’’
সচিনের অনুপ্রেরণা, নর্থ ইস্টের জঘন্য রক্ষণ আর স্টেডিয়াম ঠাসা কেরল সমর্থকদের উৎসাহ— এ সবের নিটফল মঙ্গলবার ৩-১ জয় দিয়ে আইএসএল-টু’র যাত্রা শুরু গত বারের রানার্সদের। চোটের কারণে দুই টিমই এ দিন মার্কি ফুটবলার ছাড়া ম্যাচ খেলতে নেমেছিল। প্রথমার্ধে সে ভাবে কোনও টিমই নজর কাড়তে পারেনি। বিরতির আগে বড় বেশি ফ্যাকাশে মনে হচ্ছিল কেরল এবং নর্থ-ইস্টকে। অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে এসেও নর্থ-ইস্ট আক্রমণে জোর দিয়েছিল। উল্টো দিকে ঘরের মাঠে পাঁচ জন ডিফেন্ডার নিয়ে নিজের স্ট্র্যাটেজি সাজিয়েছিলেন কেরলের ব্রিটিশ কোচ পিটার টেলার।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ক্রিস্টোফারকে তুলে ইংল্যান্ডের মিডিও সাঞ্চেজ ওয়াটকে নামানোর পর কিছুটা হলেও আক্রমণের গতি বাড়ে কেরলের। টেলারের এই পরিবর্তনই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। কারণ এর পরই জোসু, মহম্মদ রফি এবং ওয়াটের গোলে ৩-০ করে ফেলে কেরল। তবে তবে তিনটি গোলের ক্ষেত্রেই নর্থ-ইস্টের রক্ষণের ভুলও কম দায়ী নয়। পাহাড়ি টিমটির ডিফেন্ডাররা কার্যত দাঁড়িয়েই তিনটি গোল হজম করেন। ম্যাচের শেষের দিকে ভেলেজ ৩-১ করেছিলেন বটে। তবে ততক্ষণে ম্যাচ জন আব্রাহামের টিমের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। ম্যাচের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে টেলার বলেন, ‘‘শুরুর দিকে আমাদের প্লেয়ারদের একটু সমস্যা হয়েছিল। তবে যত সময় গড়িয়েছে আমার ছেলেরা ততই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। প্রথম ম্যাচে জয়টা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে।’’