এবি ডে’ভেলিয়ার্সের সঙ্গে ব্যাট করছেন কেভিন পিটারসেন! ভাবুন তো, এমনটা হলে বিপক্ষ বোলারদের কী অবস্থা হবে? অলীক স্বপ্ন নয়। ২০১৮-তেই হয়তো এমনটা দেখা যাবে। আর কেউ নয়, ইঙ্গিতটা দিয়েছেন স্বয়ং কেভিন পিটারসেন।
এই সে দিন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে চুটিয়ে ক্রিকেট খেলেছেন কেপি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০১৩-’১৪-র অ্যাসেজ সিরিজেই খেলেছিলেন তাঁর শেষ টেস্ট। সে বার ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিলেন অজিরা। সেই ট্যুরের পরে আর জাতীয় দলে ডাক পাননি কেপি। টেস্ট থেকে অবসর নিলেও এর পর নিয়মিত খেলেছেন কাউন্টি-বিগ ব্যাশ-সহ পাকিস্তান সুপার লিগে। আর আইপিএলে তো তিনি দিল্লির ঘরের ছেলে। চলতি বছরে অবশ্য রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টসের জার্সিতে মাঠে নেমেছেন কেপি।
আরও পড়ুন
আমাকে বাদ দিয়ে ঠিক করেছিল স্ট্রস: পিটারসেন
কেপি-র ক্রিকেট জীবনের শুরুটা হয়েছিল জন্মস্থান দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া লিগে। আফ্রিকান বাবা ও ইংলিশ মায়ের সন্তানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় ১৯৯৭-তে নাটালের হয়ে। তবে তখন থেকেই বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়েনি। তৎকালীন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবাদী কোটা সিস্টেমের বিরুদ্ধে তিতিবিরক্ত হয়েই সে দেশ ছেড়েছিলেন। ২০০০ সালে ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন তিনি। এর পর টানা দশ বছর ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট খেলেন। তবে অবসরের পরেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার ইচ্ছে যায়নি ১০৪ টেস্ট অভিজ্ঞ পিটারসেনের। জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে ভীষণ ভাবে মিস করেন। ঘরোয়া আলোচনায় সে কথা স্বীকারও করেছেন তিনি। এমনকী, গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার কথাও বলেছিলেন। তবে কি প্রোটিয়াদের মিডল অর্ডারের নয়া সদস্য হতে চলেছেন তিনি? আর দু’বছর পর ৩৭-এ পা রাখবেন কেপি। আট হাজারের উপর টেস্ট রানের মালিক বলেন, “এই মুহূর্তে মানসিক ভাবে দারুণ অবস্থায় রয়েছি। এখনও কড়া অনুশীলন করি। নিয়মিত ব্যাটিংও প্র্যাকটিস করি।”
তবে কী তাঁকে ফের সাদা পোশাকে দেখা যাবে? কেপি আশাবাদী হলেও ইংলিশ ক্রিকেটের নয়া বোর্ড ডিরেক্টর অ্যান্ড্রু স্ট্রস আপাতত সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। স্বয়ং কেপি অবশ্য ইংল্যান্ড নয়, ফিরতে পারেন প্রোটিয়াদের টিমে। অপেক্ষা মাত্র আর বছর দুয়েকের। তার পরই জানা যাবে আসল সত্যিটা!