মোহনবাগান কোচ খালিদ জামিল।—ফাইল চিত্র।
এ বারের আই লিগে লাজং এফসি রেকর্ড সংখ্যক গোল খেয়েছে। ১৯ ম্যাচে ৫৩ গোল। অবনমনও হয়ে গিয়েছে। কোনও বিদেশি নেই। সবই অ্যাকাডেমির ফুটবলার।
এই শিলংয়ের বিরুদ্ধে আজ, শুক্রবার নামছে মোহনবাগান। কোচ খালিদ জামিল কিন্তু বলছেন, ‘‘শিলং দল ভাল। অনভিজ্ঞতার জন্যই ওদের নেমে যেতে হল।’’ আই লিগের শেষ ম্যাচ জিতলে লিগ টেবলে সনি নর্দেদের অবস্থানে পরিবর্তন হবে না। কিসের লক্ষ্যে নামছেন? খালিদ বলে দিলেন, ‘‘সুপার কাপের প্রস্তুতি ম্যাচ হিসাবে নামব। জিতে শেষ করতে চাই লিগ। সবাইকে সুযোগ দেব।’’ ঘরের মাঠে শিলংয়ের বিরুদ্ধে গোল করে দলকে জিতিয়েছিলেন যে দু’জন, সেই ইউতো কিনোয়াকি এবং হেনরি কিসেক্কাকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। ফলে সনি নর্দে, কিংসলে ওবুমেনেমে এবং দিপান্দা ডিকাকে রেখে দল সাজাচ্ছেন খালিদ। শিল্টন পাল, আজহারউদ্দিন মল্লিকরা অফিসের হয়ে খেলতে গিয়েছেন। আজ নতুন বেশ কিছু ফুটবলারকে দেখা যাবে। খালিদকে কর্তারা বলেছেন, ৩১ জন থেকে কমিয়ে সুপার কাপে ২৫ জনের দল করতে। তিনজন বিদেশি বাদ দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েকজনকে দেওয়া হবে।
এ দিকে, ইস্টবেঙ্গল যখন আই লিগ খেতাব জেতার স্বপ্ন দেখছে তখন প্রবল চাপে মোহনবাগান কর্তারা। আর্থিক দিক থেকেও সমস্যায় তারা। যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে চার মাস আগে ক্ষমতায় এসেছিলেন কর্তারা, তার কিছুই এখনও করতে পারেননি। ক্লাব লনে বেশ কয়েক বার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সমর্থকেরা। তাঁবুর বাইরে পোস্টার পড়েছে। কর্তাদের কাছে নানা প্রশ্ন তুলে চিঠিও আসছে সদস্যদের।
এই অবস্থায় এ দিন ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফের একটি চিঠি দিয়েছেন সদস্য-সমর্থকদের। তাতে ‘এমন কিছু করা হবে না যাতে ক্লাবের সম্মান নষ্ট হয়’, ‘ক্যান্টিন-সহ পরিকাঠামো তৈরির করার চেষ্টা চলছে’ বলে নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে সভাপতি কোথাও লেখেননি যে, তাঁরা পরের মরসুমে আইএসএলে খেলবেন। লেখা হয়েছে, ‘‘দেশের এক নম্বর লিগই খেলবে মোহনবাগান’’। গত তিন মাস ধরে এটিকের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ নিয়ে আইএসএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চললেও শেষ পরিস্থিতি কি তা জানানো হয়নি চিঠিতে। বলা হয়েছে, ‘‘তিন বার সেনাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে পরিকাঠামো উন্নতির নকশা দিয়ে। মার্চের শেষে কাজ শুরু হবে। পয়লা বৈশাখ ওয়েবসাইট উদ্বোধন হবে।’’