ভুল শুধরে ফের অনুশীলনে নাইটরা।
প্লে-অফের স্বপ্ন দেখা ছেড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে এখন শুধুই পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবনা। বুধবার ইডেনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে বড় ব্যবধানে হারার পরে নাইট শিবিরের নজর আপাতত ইনদওরে। যেখানে শনিবার কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে নামবেন দীনেশ কার্তিকরা।
যা অবস্থা, তাতে প্লে-অফে জায়গা পেতে গেলে নাইটদের শেষ তিনটি লিগ ম্যাচে জিততেই হবে। তা সত্ত্বেও তাদের হয়তো তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের ফলের দিকে। রোহিত শর্মারা যদি তাঁদের শেষ তিন ম্যাচেই জেতেন, তা হলে নেট রান রেটের দিক থেকে সেরা চারের বাইরে চলে যেতে পারে তারা। সেই পরিস্থিতি এড়াতে বাকি তিন ম্যাচ যে করে হোক জিতলে হবে না, বড় ব্যবধানে জিততে হবে।
এই প্রবল চাপ নিয়ে শেষ তিন ম্যাচে জেতার কঠিন কাজ সম্পর্কে কার্তিক বুধবার রাতে বলেন, ‘‘তিনটে ম্যাচ নিয়ে একসঙ্গে ভাবনা চিন্তা করা সম্ভব নয়। এখন আমাদের প্রতি ম্যাচ ধরে ধরে ভাবতে হবে। তাই এখন আমরা শুধু ইনদওরের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। ইনদওরে জিততে পারলে সেই ছন্দ কাজে লাগিয়ে পরের ম্যাচেও জেতার চেষ্টা করতে হবে আমাদের।’’ নাইটদের শেষ তিন ম্যাচের মধ্যে দু’টিই বাইরে। এই দুই ম্যাচ আবার লিগ তালিকায় তিন নম্বরে থাকা পঞ্জাব ও শীর্ষে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। তিনটি ম্যাচেই জেতা কেকেআরের পক্ষে সহজ হবে না।
বিশেষ করে মুম্বইয়ের কাছে ১০২ রানের ধাক্কা কাটিয়ে এই তিন ম্যাচে জেতাই যে এখন বড় চ্যালেঞ্জ, তা মেনে নিয়ে কার্তিক বলেন, ‘‘বড় হারের কথা ভুলে জয়ে ফেরাটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের কাছে। তবে এই স্তরে এ রকম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তেই হবে। দ্রুত এই পরিস্থিতি সামলে এগিয়ে যাওয়াটাই এখন সবচেয়ে বড় কাজ।’’
তবে কিংস ইলেভেনের বিরুদ্ধে দলে বেশি রদবদলে রাজি নন কার্তিক। বলেন, ‘‘অধিনায়ক হিসেবে আমার অন্যতম শক্তি হল দলের ১১ জনের উপর আস্থা রাখতে পারি। আগের দিন পর্যন্তও আমরা পাঁচটা ম্যাচ জিতেছিলাম, পাঁচটায় হেরেছি। কয়েকটা খারাপ ম্যাচের সঙ্গে কয়েকটা খারাপ ম্যাচও ছিল। এই বিশ্বাসটা এখনও থাকা দরকার। তাই দলে পরিবর্তন নিয়ে কিছু ভাবিনি এখনও।’’ তবে ইনদওরের পরিবেশ ও উইকেট দেখে দলে কিছু বদল আসতেও পারে বলে শিবিরের খবর। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইনদওরে পৌঁছন নাইটরা। দুই তরুণ ক্রিকেটার শিবম মাভি ও শুভমন গিলের চোট। মাভির চোট তো আগেই ছিল। অধিনায়ক জানান, বুধবার সকালে শুভমন ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাঁর হাঁটু ফুলে গিয়েছে।