বোলারদের জোড়া দাওয়াই কোহালির

গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে চিন্নাস্বামীতে নামার আগে বিরাট কোহালির ‘টু ডু লিস্টে’ ঠিক কী কী থাকল?

Advertisement

রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায় l

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০২ মে ২০১৬ ০২:২১
Share:

অন্য মেজাজ। নতুন ভঙ্গি। বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে কোহালি-গেইল। রবিবার। -পিটিআই

গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে চিন্নাস্বামীতে নামার আগে বিরাট কোহালির ‘টু ডু লিস্টে’ ঠিক কী কী থাকল?

Advertisement

নিজামের শহরে গত রাতে ম্যাচ খেলে ওঠার পর এ দিন শহরে ফিরে প্র্যাকটিস সেশন থাকার কথা ছিল না, মাঠের দিকে আসেওনি আরসিবি। কোহালি আর ক্রিস গেইলকে পাওয়া গেল স্পনসরের একটা অনুষ্ঠানে। সেখানে কোহালিকে হাসিমুখে পাওয়া গেলেও ভেতরে ভেতরে তিনি কেমন মেজাজে আছেন, টিমের কারও কারও থেকে শোনা গেল। আর যা শোনা গেল, কোহালি-সমর্থকদের তা যে মোটেও প্রসন্ন করবে না, খোঁজ না নিয়েও লিখে দেওয়া যায়।

ক্যাপ্টেন কোহালি নাকি টেনশনে। ভাল রকম টেনশনে।

Advertisement

টেনশনের কারণ? কেন, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বোলিং! যার দশা দিন দিন এতটাই কদর্য হচ্ছে যে, কোহালির মতো ডাকাবুকো অধিনায়ককেও শান্তিতে ঘুমোতে দিচ্ছে না। প্রথমে ব্যাট করলে যে রানই উঠুক, অনায়াস-দক্ষতায় তা তারা প্রতিপক্ষকে টপকে যেতে দিচ্ছে। আর পরে ব্যাট করলে তো কথাই নেই। কোহালি-এবিরা নেমে দেখছেন ন্যূনতম ১৯০ রানের দুর্লঙ্ঘ্য প্রাচীর সামনে!

নেট সেশন না থাকলেও শোনা গেল, কেকেআর ম্যাচের আগে কোহালি-সাম্রাজ্যে একটা বোলার্স মিটিং হয়েছে। যেখানে এক নয়, একজোড়া দাওয়াই নাকি বোলারদের দিয়েছেন কোহালি। তিনি নাকি বলেছেন, যে কোনও উপায়ে হোক, যে কোনও মন্ত্রে হোক, উইকেট বার করতেই হবে। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাট যে বোলারদের প্রতি নির্দয়, তিনি জানেন। কিন্তু রান আটকানোর চেষ্টায় আরসিবি বোলাররা যদি এ ভাবেই যেতে থাকে, লাভ হবে না। উল্টে ব্যাটসম্যানের পক্ষে ম্যাচ বার করা আরও দুঃসাধ্য হয়ে যাবে।

আরসিবি ক্যাপ্টেন নাকি এখানে থামেননি। বোলারদের নাকি আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে, ভয় পাওয়াটা ভুলে যাও। ব্যাটসম্যান মারতে থাকলে ঘাবড়ে যাওয়াটা বন্ধ করো। কেউ যদি ম্যাচের আগে ঠিক করে আসে অমুক ব্যাটসম্যানকে ইয়র্কার করব, তা হলে সে করুক। ইয়র্কার দিতে গিয়ে যদি ফুলটস হয়, আর ব্যাটসম্যান যদি তা ফেলে দেয় গ্যালারিতে, অসুবিধে নেই। বরং পরেরটা আবার ইয়র্কার করার চেষ্টা হোক।

বোলারদের উদ্দেশ্যে আরসিবি ক্যাপ্টেনের বার্তার নির্যাস নাকি খুব পরিষ্কার। ব্যাটসম্যান যদি সাধ্যমতো চেষ্টার পরেও আঘাত করতে থাকে, তা হলে সেটা তার কৃতিত্ব। কিন্তু ব্যাটসম্যানকে আক্রমণ করতে দেখে তুমি যদি নিজের পরিকল্পনা থেকে পিছু হঠে যাও, তা হলে সেটা তোমার পরাজয়।

টিম ম্যানেজমেন্টের কেউ কেউ নাকি দুঃখ করে এটাও বলে ফেলেছেন যে, প্রতিপক্ষকে কোনও রান দিয়েই তো ভয় পাওয়ানো যাচ্ছে না। দু’শো টার্গেট দিলেও তারা ভাবছে এই বোলিং ঠেঙিয়ে নিশ্চিন্তে তুলে ফেলব! অথচ হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টিম ক্রিস গেইলের মতো টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানকে বসিয়েছে বোলিংকে দাঁড় করানোর জন্য। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। ম্যাচ সেই হারতে হয়েছে। অ্যালান ডোনাল্ডের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে কোনও কোনও মহলে। বলাবলি নাকি চলছে যে, ডোনাল্ড নিজে এত বড় বোলার। সেখানে তাঁর টিমের বোলিংয়ের দশা কেন এতটা ভয়াবহ হবে? রাত পর্যন্ত যা খবর, তাতে সোমবার গেইলের প্রত্যাবর্তন হতে পারে।

যে ধারণাকে ভুল মনে হবে না। বোলিংয়ে নানা পারমুটেশন-কম্বিনেশন করে তো দেখা গিয়েছে যা দেখার। বিরাট কোহালি দেখে তো নিয়েছেন সব। কাজের কাজ যখন কিছু হয়নি, তখন গেইলের মতো চ্যাম্পিয়নকে খামোখা ডাগআউটে বসিয়ে রেখে লাভ কী?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন